সত্যন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : বাং লাদেশ-ভারত আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টমেন্টথেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচলের খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে নীলফামারী-সহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষ।
আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রীবাহি ট্রেনটি বাংলাদেশ- ভারত চলাচল শুরু করবে আগামী পহেলা জুন রোববার,বাংলাদেশ ও ভারত রেলওয়ে কতৃপক্ষ এ উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ন করেছে এই খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের ৮জেলা’র মানুষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার জানান, বাংলাদেশ-ভারতের ভিসাসহ অন্যান্য জঠিলতার অবসান হওয়ায় আগামী পহেলা জুন রোববার থেকে মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রীবাহি ট্রেনটি ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে ভারত সীমান্তের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের নীলফামারী’র চিলাহাটি হয়ে ঢকা ক্যান্টমেন্ট পর্য়ন্ত চলাচল করবে। ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বুধবার চলাচল করবে ঢাকা’র ক্যান্টমেন্ট পর্যন্ত।বাংলাদেশের ঢাকা ক্যন্টমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সপ্তাহে সোমবার ও বৃস্পতিবার চলাচল করবে।যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে রংপুর বিভাগের পাসপোর্টধারী যাত্রীর জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ। ট্রেনে ভ্রামণকারী যাত্রীদের অবশ্যই কোভিট-১৯’র টিকা প্রদানের সনদ থাকতে হবে।ট্রেনে ভ্রামনকারী যাত্রীদের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসিবাথ-৪ হাজার ৯০৫ টাকা,এসিসিট-৩ হাজার ৮০৫ টাকা,এসিচেয়ার-২ হাজার ৭৫ টাকা।৫ বছর পর্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০শতাংশ ছাড়ে ভ্রমন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। নীলফামারী হতে চিলাহাটি স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি ভাড়া নিধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২শত ৫০ টাকা।মিতালী এক্সপ্রেস ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট উদ্দ্যেশে যাত্রাপথে নীলফামারী’র চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে ৩০মিনিট অবস্থান করবে।গত ২৭ মার্চ এই রেলপথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রমকারী যাত্রীবাহি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচলের ভার্চুয়াল উদ্ধোধন করেন, বাংলাদেশের সফল রাস্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এ ভার্চুয়াল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তছিলেন,রেলপথ মন্ত্রী নুরল ইসলাম সুজন ও ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণণ।এই রেলপথে ট্রেনটি সীমান্তের এপাড়-ওপাড় চলাচলের জন্য উদ্ধোধন করা হলেও প্রানঘাতি কোভিড-১৯’র প্রদুর্ভাবে ট্রেনটি চলচল থমকে দাঁড়ায়। রেলপথের দুরত্ব ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ৫শত ৯৫ কিলোমিটার। উল্লেখ্য:ব্রিটিস শাসন আমলে ইস্টবেঙ্গল কোম্পানি ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার এই রেলপথটি স্থাপন করে ৩টি বগি একটি স্যাটল ট্রেন চলাচল করতো ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।১৯৬৫ সালের তেভাগা আন্দোলনের সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই রেলপথটি বন্ধ করে দেয়।রেরপথটি বন্ধ থাকলেও এমিগ্রেশন কাষ্টম অফিস কর্যক্রম চালু ছিল পাসপোর্টধারীদে’র জন্য।হটাৎ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে কার্যক্রম -বন্ধ করে দেয়।দীর্ঘ ৫৮ বছর পর বন্ধ রেলপথটি পুনরায় বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় এমিগ্রেশন কাষ্টম অফিসের কার্যক্রম ও যাত্রীবাহি মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এমন প্রজ্ঞাপনের জরী করার আনন্দে ভাসছে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষজন।