সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সেচ্ছা (ঐচ্ছিক) তহবিল থেকে সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল, গাভী, ঢেউটিন, নগদ অর্থ বিতরন করেন, সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদূজ্জামান নূর (এমপি)। ২৬টি পরিবার মাঝে এসব সামগ্রী বিতরন করেন তিনি । এর মধ্যে সেলাই মেশিন ১৪টি, বাইসাইকেল ৫টি, টিন চার পরিবার (৮ বান্ডিল), নগদ অর্থ দুই পরিবার ও গাভী একটি।
শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরের দিকে এমপি তাঁর নীলফামারীস্থ জেলা শহরের নিজ বাসভবনের উঠানে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী তরিকুল ইসলাম জানান, জেলা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাছাই করে ২৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেলাই মেশিন, বাইসাইকেল, গাভী ও নগদ অর্থ বিতরন করেন। তিনি বলেন, এগুলি এমপি মহোদয়ের সেচ্ছা তহবিলের ৮ লাখ টাকা থেকে প্রকৃত অসহায়, শারীরীক প্রতিবন্ধি, বেকার নারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করা হয়।
জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের দরবেশ পাড়া গ্রামের আদুরী বেগম (৩০) সেলাই মেশিন পেয়ে বলেন, স্বামীর সংসারে ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাব অনাটনে কোন রকমে দিন চলছিল। এর মধ্যে নূর ভাইয়ের একটি সেলাই মেশিন পেয়ে খুব ভালই হলো। এখন থেকে সেলাইয়ের কাজ করে সংসারের ভরণ পোষন চালাতে পারবো। ছেলেটার লেখাপড়ার খরচও চালাতে পারবো এখান থেকে।
একই উপজেলার পঞ্চপুকুর দ্ধি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাজমুল হাচান বলেন, এতোদিন অনেক কষ্ট করে ১০-১২ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে ক্লাস করেছি। এখন আর কস্ট করতে হবে না, নূর চাচা (এমপি) নতুন এটি বাইসাইকেল দিয়েছে সেটাতে করে মনের আনন্দে স্কুলে আসতে পারবো। এখন লেখাপড়াও ভাল হবে। স্কুলে আর ফাঁকি দেবনা। নূর বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দুঃখি মানুষের জন্য নানা কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালিন ভাতা, ৪০ দিন কর্মসুচি, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন কর্মসুচি দিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পেশায় মানুষ এখন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই দেশের মানুষ আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এমপির সহধর্মণী ও পরিচালক ইনষ্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম বিভাগে (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ) শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, ভাইজ চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী ও শন্তনা চক্রবর্তী প্রমুখ ।