রিমন পালিত:বান্দরবান প্রতিনিধি:চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৪২তম হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ১৫০০টি প্রতিষ্ঠানের আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিরল সম্মান অর্জন করে উপজেলার পাশ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের শাহ ইমাম গাজ্জালী রহ. হেফজখানার দুই শিক্ষার্থী। এ দুজনের সম্মানার্থে গতকাল এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নস্থ কোয়ান্টাম মসজিদ কমপ্লেক্স।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার ও গ্লোবাল ফিল্যানথ্রপিক প্লানেট (জিপিপি) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন (মাহি)। এতে আলোচক ছিলেন, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মুসা মুহাম্মদ খালেদ জমীল। লোহাগাড়ার পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক এবং সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিছ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়ান্টাম কসমো কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস এম সাজ্জাদ হোসেন। আগত অতিথিদের প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন কোয়ান্টামম মসজিদ কমপ্লেক্সের সভাপতি আবদুল্লাহ জুবাইর। এ সময় কৃতি শিক্ষার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম প্রথম গ্রুপে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ায় সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা এবং হাফেজ মুহাম্মদ রাকীব হোছেনকে দ্বিতীয় গ্রুপে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ায় ৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এই সম্মান অর্জনের পেছনে অবদান রাখায় দুই কৃতি শিক্ষার্থীর শিক্ষক হাফেজ মাওলানা নাজিম উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে কোয়ান্টামম মসজিদ কমপ্লেক্সেও কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. মুহিউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আল্লাহ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত—সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাকে ভাষাগত জ্ঞান দিয়েছেন। আরো দিয়েছেন ভালো-মন্দ বিচার করার সক্ষমতা। আমরা জানি, সকল জ্ঞানের উৎস হচ্ছে ঐশীগ্রন্থ কোরআন। তাই শুধু কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে থাকলে হবে না, কোরআনকে অনুধাবন করতে হবে আমাদের। তাহলে আমরা বুঝতে পারব, একজন মানুষ সঠিক পথ তখন পাবেন যখন তিনি আত্মশুদ্ধি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উভয় চর্চার মধ্য দিয়ে যাবেন। কোয়ান্টামে এসে আমি এই সঠিক চর্চার প্রতিফলন লক্ষ্য করছি।
কোয়ান্টামের প্রতিষ্ঠাতা গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক ধ্যানের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং সামাজিক সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সৃষ্টির সেবা করে যাচ্ছেন। এই দুটির সমন্বয় এখানে আছে বলে এখানে শান্তি বিরাজ করছে।