মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি : ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠছে কাপ্তাই নতুন বাজার গরুর হাট। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুন বাজার আনন্দ মেলা ঘাটে অবস্থিত গরু বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির হাট। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই কাপ্তাই গরুর বাজারে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদ পথে ইঞ্জিল চালিত বোট ভর্তি পাহাড়ি দেশি গরু আসতে শুরু করে।
দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠছে। সরেজমিনে এসে দেখা যায় , কাপ্তাই গরু বাজারে ভেতরে কোনো ধরনের জায়গা নেই। হাটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গবাদি পশুতে ঠাসা। প্রবেশ মুখেও রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। এই হাটে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে পাহাড়ি এলাকার দেশি গরু। হাটে ছাগলের আমদানিও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েক দিনের তুলনায় ঈদ যত এগিয়ে আসছে বিক্রিও বাড়ছে দিনদিন।
হাটে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ১০হাজার টাকা পর্যন্ত দাম চাইছেন বিক্রেতারা। তবে সর্বোচ্চ এক লাখ ১৫ হাজার টাকার গরু ও ২০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও অনুসন্ধানে আরও জানা যায় ৪৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের গরুর ক্রেতা বেশি। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এইবার গরু প্রতি ৫ থেকে দশ হাজার টাকা দাম বেশি। গরুর উৎপাদন খরচ বাড়লেও সেভাবে বাড়েনি গরুর দাম এমনই বলছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, গরুর খাদ্য কিনতে হচ্ছে বেশি দাম দিয়ে।গোখাদ্য ৬’শ টাকা ভুট্টা ১২’শ টাকা। ২৫’শ টাকার খৈলের বস্তা এখন ৩৩’শ টাকা দাম। খড়ের দাম বেড়েছে। এমন কোন খাবার নাই যে খাবারের দাম বাড়েনি। লাভ যদি দেখা যায় তা প্রকৃত লাভ নয়। খরচের তুলনায় এর দ্বিগুণ লাভ করলে ভালো হতো। বিলাই ছড়ির রনি চাকমা, সুমন তনচংগ্যা, পারুয়ার কালাম, ঐক্য মারমা এসব ব্যবসায়ীরা জানান,পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার গরু পালন করে তেমন একটা লাভ করা যাচ্ছে না। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতারা দাম কম বলছে।
গরু কিনতে আসা কাপ্তাইয়ের ইসলাম, হাফিজ, নুরুল আলম, দিদারুল আলম, এনামুল হক মিলন এর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন, গত বছরের চেয়ে গরুর দাম কিছুটা বেশি । হাটে দেশি গরুর সমাগম হয়েছে। পছন্দের গরু কিনতে আশা করি এবার অসুবিধা হবেনা।
এদিকে হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।