মাহফুজ আলম, রাঙামাটি বাঘাইছড়ি থেকে : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুরছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ৬৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছে স্থানীয় ৫ যুবক।আহতদের স্থানীয় দুরছড়ি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় বাজারের মিলন দে নামের ব্যক্তির তেল গ্যাসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমাসহ অনেকেই । চেয়ারম্যান বিল্টু চাকমা বলেন মিলন দে গ্যাসের চুলা মেরামত করে আগুন জ্বালিয়ে পরীক্ষার সময় পাশে থাকা অকটেনে আগুন লেগে চার পাশে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার পর থেকে ব্যাবসায়ী মিলন দে পালিয়ে যায়। আগুনের সংবাদ পাওয়া পর মারিশ্যা জোনের বিজিবি ও দুরছড়ি সেনাবাহিনী ক্যাম্পের শতাধিক সদস্য স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে পার্শবর্তী উপজেলা দিঘীনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরপরই খাগড়াছড়ি ২০৩ রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএসপি, এনডিসি,পিএসসি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করছেন। এসময় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর প্রদান করেন, এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুরছড়ি বাজারে একটি ফায়ার পয়েন্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন ৬৯ টি দোকান পুড়ে গেছে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের দাবী প্রায় ৪০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাকরিয়া হায়দার বলেন আমার এখনো কাজ করছি, কাজ শেষে তদন্তের মাধ্যমে আগুনের বিস্তারিত কারণ জানা যাবে। উল্লেখ্য দেশের বৃহৎ উপজেলা বাঘাইছড়ি এখানে ফায়ার স্টেশন না থাকায় প্রায় আগুনে পুড়ে সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হয় অধিকাংশ মানুষ মানুষ।