কক্সবাজার প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে অধিকগ্রহণকৃত জমিতে ২১ক্যাটাগরির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে একটি হল ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ। জানাগেছে, মাতারবাড়ীতে ১৪১৪ একর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ চলমান। উক্ত প্রকল্পের জন্য অধিকগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণে নিজের নাম দিয়ে স্থানীয় এক সাবেক জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সুশিলন এনজিও এরিয়া ম্যানেজার মফিজের যোগসাজশে মাতারবাড়ী মজিদিয়া আলীম মাদ্রাসার এক সিনিয়র শিক্ষক তুলে নিলেন প্রায় ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। বিষয়টি দীর্ঘদিন পর জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগস্ত শ্রমিক জানান,আমরা কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে ক্ষতিগস্ত হয়েছি অথচ আমাদের নাম নেই! কিন্তু একজন সিনিয়র শিক্ষক কিভাবে ক্ষতিগস্ত শ্রমিকের নামে টাকা উত্তোলন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়ট তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। একই মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন তার পারিবারিক অবস্থা এতই খারাপ না যাতে লবণ মাটে কাজ করতে হবে? তাছাড়াও কখনো শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে কিনা আমাদের জানা নেই।
জানায়ায়,মাতারবাড়ী কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের সঠিক তালিকা তৈরি করে প্রকৃত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেন এনজিও সুশিলনকে। আর এ তালিকায় জমি মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের তালিকা চাওয়া হলে সাবেক এক চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের তথ্য দেন। আর সেই তথ্যই দেখা যায় মাতারবাড়ী মজিদিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ইকবাল বাহারের নাম। সেই তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের নামে প্রায় ২লক্ষ ৮৫ হাজার উত্তোলন করা ও হয়। সেই রকম অনেক ভূয়া তথ্য ও তালিকা তৈরীতে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সচেতন মহল। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের তালিকা তৈরীতে অনিয়ম, কমিশন বাণিজ্য, ভূয়া শ্রমিকসহ নানা অনিয়ম আর দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে সুশিলনের ইনচার্জ মফিজুর রহমান সংবাদ শিরোনাম ও হয়। তার কাছে কমিশন ছাড়া ফাইল নড়েনা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাতারবাড়ী মজিদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ইকবাল বাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সকালে নাকি লবণ মাঠে শ্রমিকের কাজ করেন। আর তারই প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত লবণ শ্রমিক হিসাবে টাকা উত্তোলন করেন বলে জানান, সেরকম আরো আছে বলে মুঠোফোনে সংযোগ কেটে দেন। এবিষয়ে সুশীলনের ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান মূলত কাজ শুরু করার সময় তথ্য গোপন করে শ্রমিকের তালিকায় প্রভাষকের নাম দেন স্থানীয় এক সাবেক জনপ্রতিনিধি। ওনার সাথে ও যোগাযোগ করার পরার্মশ দেন। এই দায় কে নিবে জানতে চাইলে তিনি চুপ করে মুঠোফোনে সংযোগ কেটে দেন।