জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী : ‘পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সভা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সভায় পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের সম্পর্ক মানউন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক নানা অপরাধ মাদক, নারী ও শিশু পাচার এবং সন্ত্রাস দমন ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি রোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় কার্যকরী বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও জনতার মাঝে দূরত্ব কমিয়ে কিভাবে জনবান্ধব পুলিশ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে অলোকপাত করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বিপিএম, পিপিএম।
এ সময় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সার্জেন্ট জয়ন্ত কুমার সরকার জয়’র এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গোয়ালন্দ পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মুহাম্মদ ভূইয়া, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জেল হোসেন তপু, শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মাহবুব আলম (লিটন মেম্বার) সহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা থেকে আগত থ্রী হুইলার চালক, ও হেলপারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য দর্শনে পরিণত হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জনগণের কথা পুলিশ জানতে পারবে। কমিউনিটি পুলিশ হচ্ছে পুলিশের সহায়ক ভূমিকা পালন করা। যতদিন রাষ্ট্র আছে, ততদিন কমিউনিটি পুলিশিং থাকবে। মানুষের মাঝে যেন অপরাধ প্রবণতা না জন্মায় কমিউনিটি পুলিশিং সে বিষয়ে সর্তকীকরণ করবে। কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। অর্থাৎ কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মতামত ব্যক্ত করাই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-এর কাজ।