জহুরুল ইসলাম হালিম, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় করোনার কারনে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দারিদ্রতাসহ বিভিন্ন কারনে পিছিয়ে পড়েছে উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকার শিশু শিক্ষার্থীরা। এ সকল দূর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে বিদ্যালয় অথবা বিদ্যালয়ের আশপাশে বিশেষ পাঠদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা স্বনির্ভর পাঠক হয়ে শুদ্ধভাবে রিডিং পড়তে পারবে।
ইতিমধ্যে এ লক্ষে উপজেলার ৩০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনীর সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী চিহ্নিত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫০ টি ক্যাচ-আপ ক্লাব। যেখানে তাদের জন্য বিশেষ পাঠদান সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৫০ জন কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর। স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা (কেকেএস) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
ক্যাচ -আপ প্রকল্পের পরিচিত উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে কেকেএস’র উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক ও কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি- স্বপন কুমার মজুমদার, কেকেএস’র সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী , উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার- মো. কবির হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেন’র ম্যানেজার (শিক্ষা) সাইফুল ইসলাম খান, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম, ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, কেকেএস’র প্রকল্প কর্মকর্তা ফকীর আমজাদ হোসেন ও নির্বাচিত ৩০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন প্রধান শিক্ষক সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
সভায় সেভ দ্যা চিলড্রেনের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার কারনে সারা পৃথিবীতে শিক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষীয়ে নিতে সেভ দ্যা চিলড্রেন পাইলটিং হিসেবে পৃথিবীর মাত্র ৫ টি দেশে এ ধরণের প্রকল্প চালু করেছে। বাংলাদেশের বরিশাল,গাইবান্ধা ও গোয়ালন্দে এ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।