পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন বলেছেন, মোস্তাক ছিল কুলাঙ্গার, ঘরের ভেতরের খবর তিনি পৌঁছে দিতেন জিয়াউর রহমানের কাছে। আর জিয়াউর রহমান ছিলেন ঘাতক, তিনি সেই খবর পৌঁছে দিতেন তার ওস্তাদ আমেরিকার কাছে। এছাড়া বাংলার কোনো পুরুষের ক্ষমতা ছিল না, বাংলার কোনো মিলিটারীর ক্ষমতা ছিল না, বঙ্গবন্ধুর ওই চওড়া বুকের উপরে গুলি চালায়। গুলি চালাতে তারা বাধ্য করেছিল। কারণ বঙ্গবন্ধু তখন বিশ্বনেতা।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।
এমপি মকবুল হোসেন বলেন, ঘাতকদের এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তে যারা তাঁর পাশে থাকতো সেইসব কুলাঙ্গারদের সহযোগিতায় ১৫ ই আগস্ট সুবহে সাদেকের সময় বঙ্গবন্ধু, তার সহধর্মীনি ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ তার তিন পুত্র, পুত্রবধু, ভাই আত্মীয়-স্বজনসহ ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে তার স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই হত্যা হলো স্বাধীনতাকে হত্যা। সেই হত্যা হলো বাংলাদেশের আপামর জনসাধরণকে হত্যা, সেই হত্যা হলো অসহায় মেহনতি মানুষের হত্যা। এক কথায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুই নাম্বার কাতারে আছে। আগামীতে এক নাম্বার কাতারে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মথুরাপুর খেলার মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারন
ণসম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার মাহবুব এলাহী বিশু, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিমুদ্দিন মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা, বিলচলন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম এ মতীন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য নুর মোহাম্মদ বেনজীর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহরম আলী, দুই নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান সাহাবুর রহমান চন্দন, তিন নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী প্রমুখ।
পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতীফ। শেষে সবার মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়।