মেহেরপুর প্রতিনিধি : বিনা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধুর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে মৃত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে পালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আগুনে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রুবিনার পিতার পরিবারের। নিহত রুবিনা খাতুনের দুই বছর বয়সী এক কন্যা শিশু রয়েছে। রুবিনা খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার টেঙ্গারমাঠ গ্রামের রবগুল হোসেনের মেয়ে। পাশর্^বর্তী মনোহরপুর গ্রামের মিলন হোসেনের সাথে চার বছর আগে রুবিনার বিয়ে হয়। স্বামী মিলন হোসেন একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে চাকুরির সুবাদে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এই দম্পত্তি। মিলন-রুবিনা দম্পত্তির বাসা মালিকের স্ত্রী শামীমা আক্তার রিতা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রান্না নিয়ে দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। রাত নয়টার দিকে রুবিনা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। স্বামী মিলনের চিৎকারে বাসা মালিকের পরিবারসহ আশেপাশের লোকজন গিয়ে রুবিনার গায়ের আগুন নেভায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। শুকবার ভোরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। রুবিনার মৃত্যুবরণ করলে মৃতদেহ ফেলে স্বামী মিলন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করেন বাসা মালিকসহ আশেপাশের লোকজন। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, বামন্দী এলাকায় মিলনের ভাড়া বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকা- না আত্মহত্যা তা তদন্ত করা হচ্ছে।