কাপ্তাই(রাঙামাটি) প্রতিনিধি : কাপ্তাই উপজেলার শেষ প্রান্তে কর্নফুলি নদীতে বনার্ঢ়্য নৌ র্যালির মাধ্যে দিয়ে ভক্তরা অশ্রুসিক্ত নয়নে ভক্তি অঞ্জলী দিয়ে জয় জোয়ারে ঢাক কাসর বাজিয়ে দেবী দূর্গাকে বির্সজন দিলেন বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে।
হাজারো ভক্তের জয়ধ্বনি আর উলুধ্বনিতে কর্নফুলি নদীর দু’কোলে ভক্ত দর্শনার্থী সকলের উপস্হিতিতে এই প্রতিমা নিরঞ্জন উৎসব একটা সার্বজনীনতা লাভ করে। কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ বিজয়া দশমী উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও আয়োজন করেছে বিজয়া নৌ র্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা কর্নফুলি নদীর উপর ফেরিতে সু-বিশাল মঞ্চে ৩ ঘন্টাব্যাপি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি ২৯৯ আসনের নির্বাচিত সাংসদ দীপংকর তালুকদার এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আজ এদেশে প্রতিটি ধর্মের উৎসবে সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে অংশ নিয়ে থাকে।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কান্তি ভট্রাচার্য্যের সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক সম্পাদক ঝুলন দত্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু বিশ্বাস অমিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, কেপিএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলার আহবায়ক অমলেন্দু হাওলাদার, সদস্য সচিব রনতোষ মল্লিক, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, বর্তমান চেয়ারম্যার আক্তার হোসেন মিলন, ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরনজীত তনচংগ্যা ও চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী।