নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বুধবার যথাযথ মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন স্বাধীনতা চত্বরে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্যবসায় প্রশাসন, আইসিই, ইইসিই, রসায়ন, ইংরেজি, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ, পদার্থ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, বাংলা, সমাজকর্ম,নগর ও অ ল পরিকল্পনা, সিভিল, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও লোকপ্রশাসন বিভাগ, প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, কর্মচারী পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, রোভার স্কাউট গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বুদ্ধিজীবী দিবসে বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাদের হত্যাকান্ড শুধুমাত্র ১৪ ডিসেম্বরেই হয়নি। এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে ধাপে ধাপে। এ দেশ যাতে স্বাধীনতার পরেও মুক্ত- চিন্তার বিকাশ না ঘটতে পারে, সেজন্যই এই হত্যাজজ্ঞ চালানো হয়েছিল। একসময় এদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা যেতনা। এখন অনেক কিছুৃ পরিবর্তন হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তা দিয়ে আমাদের অগ্রগতি সাধন করতে হবে। যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য অবদান রাখতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, এদেশে সকল ক্ষেত্রে বিভাজন চলছে। যারা এই বিভাজনের দেয়াল তৈরি করেছেন, তাদেরকেই এই দেয়াল ভাঙ্গতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, আজকের দিনটি বাঙালির জন্য কলঙ্কময় ও বিভীষিকাময় দিন। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের সহযোগিতায় হানাদার বাহিনী জাতির শেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্যই এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।
অনুষ্ঠান স ালনা করেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মোনাজাতের মাধ্যমে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।