পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি-ঘরে পেট্রোল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আগুনে ছাগল, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি-ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীর।
সোমবার ( ১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সদরের দোগাছি ইউনিয়নের চর কোশাখালী পশ্চিমপাড়ার আব্দুল জব্বারের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভূক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রথমে বিকট শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন আব্দুল জব্বার ও বাড়ির লোকজন। এসময় ঘরের পাশ থেকে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান চিনি প্রামানিকসহ ৩-৪ জনকে দৌঁড়ে পালাতে দেখেন। পরে ঘরের ওপরে আগুন জ্বলতে দেখতে পান তারা।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে ৯৯৯-এ নম্বরে কল করলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ততক্ষণে আগুনে ৭টি ছাগল, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি, ফ্রিজ, দুটি ঘর ও আসবাবপত্রসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান চিনি, চিনির ছেলে সুমন আলী, ভাতিজা পিয়াস ও পলাশ, মামুনসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী।
ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বারের দাবি, আব্দুর রহমান চিনির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের মধ্যস্থতায় কয়েকবার শালিশী বৈঠক করেও কোনও সমাধান হয়নি। গত শনিবার তার ছেলেকে রাস্তায় মারধরের চেষ্টা করেন আব্দুর রহমান চিনির লোকজন। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ছেলের ইলেকট্রনিকের দোকানে গিয়েও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসেন। এসব ঘটনার দুইদিন পরই তার বাড়িতে আগুন দেয়া হলো।
ঘটনার পর থেকেই স্ব-পরিবারের পালিয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুর রহমান চিনি প্রামানিক ও তার সহযোগিরা। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান চিনি প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।