নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আজ বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম ও অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন। উপাচার্য কার্যালয়ে সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রকল্প পরিচালক, চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মঞ্জুরী কমিশনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, আর্থিক দিক, জ্বালানী সাশ্রয়, ল্যাবের মান উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, গবেষণার জন্য বিদেশ থেকে ফান্ড সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষক স্বল্পতা, ক্লাসরুমের স্বল্পতা, আধুনিক ল্যাবের সুযোগ সুবিধা, শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সদস্যদের সামনে তুরে ধরেন।
এর আগে সকাল নয়টায় সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ জ্ঞান দান, জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণ করা। এই কাজগুলো সুন্দর ও সঠিকভাবে সম্পাদন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটাই পিছিয়ে আছে। গবেষণা বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত করতে হবে। সেবাকে জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং সেই সাথে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সৎ ও একনিষ্ঠভাবে দেশ ও জনগণের জন্য আত্মনিয়োগ করতে হবে। সেবাকে পরিকল্পনামাফিক ও নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক যাতে সেবা সঠিক সময়ে ও ঝামেলাহীনভাবে পেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সিটিজেন চার্টারে সেবাগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। নিজেকে আত্মশুদ্ধি করে মানসিকতার পরিবর্তন এবং প্রত্যেকের মধ্যে সেবা দেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়কে সবসময় দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধান অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সীমিত সুযোগ সুবিধার মধ্যেও ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মূল কাজগুলো আমারা ঠিকঠাকভাবেই করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল-আহম্মেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নূর আলম।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল-এর উদ্যোগে দুটি ব্যাচে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম ব্যাচে সকাল নয়টা হতে সকাল এগারোটা এবং দ্বিতীয় ব্যাচে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত হয়।