নিজস্ব প্রতিনিধি : অনিয়ম, ঘুষ ও দূনীতির মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে সৃজিত বনের ১০/১২ কোটি টাকার গাছ উজাড়ের মহা উৎসব চলছে সিরাজগঞ্জের বন অফিসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী বরাবর এমনই এক অভিযোগের আবেদনের কপি আসে বিডি২৪ ভিউজ.ডট কমের কাছে আবেদন পত্রটি জনস্বার্থে তু্লে ধরা হলো ।
প্রাপক:
জনাব মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী
প্রধান বন সংরক্ষক,
বন অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা।
অনিয়ম, ঘুষ ও দূনীতির মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে সৃজিত বনের ১০/১২ কোটি টাকার গাছ উজাড়ের মহা উৎসব চলছে সিরাজগঞ্জের বন অফিসে। যথা বিহীত সম্মানের সহিত জানাইতেছি যে, আমাদের সিরাজগঞ্জের বন বিভাগের আওতায় জনাব আবুল হাসেম পরিচালক শাখা প্রতিবন্ধি ধান বান্দী সাং- উল্টা ঢাকা হেলালী রোড সিরাজগঞ্জ বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগানের গাছ কর্তনের জন্য সামাজিক বন বিভাগ পাবনা হতে অনুমোদন নিয়ে প্রায় ১০/১২ কোটি টাকার গাছ কর্তনের মহা উৎসব চলছে । স্থানীয়রা এ ব্যাপারে তাকে বলিলে তিনি বলেন যে, আমি রেঞ্জার হৃষী বাবুকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি, এ.সি.এফ ইব্রাহিম খলিল সাহেব কে ৬ লক্ষ টাকা এবং রেঞ্জারের মাধ্যমে ডি এফ ও মাহাবুব সাহেবকে সামাজিক বন বিভাগ পাবনাকে ১০ (লক্ষ) টাকা এবং অফিসের ডিলিং কেরানী বাবুকে ১ (লক্ষ) টাকা দিয়ে গাছ কর্তনের অনুমোদন এনেছি এতে তোমাদের কি। সিরাজগঞ্জ অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদেরকে ২ (লক্ষ) টাকা দিয়েছি যা অনেক কর্মচারীরা জানেন । আমরা স্থানীয় এলাকার জন সাধারণ বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করিয়া কোনো প্রতিকার পায় নাই। আমরা খোজ খবর ও তথ্য নিয়ে জানিতে পারিলাম ১৯৯৪-১৯৯৫ সনে শাহাজাদপুর পিডার রোডের ৩.০০ কি মি বাগান করা হইয়াছিল।বাগানের জার্নাল ,ম্যাপ, পরিদর্শন বিবরনী ও খরচের হিসাবের কাগজপত্র দাখিল করা হলো । সরকারী বাগানের সৃজিত গাছ হওয়ার পর কিভাবে কোটি কোটি টাকা দূনীতির মাধ্যমে সরকারী সম্পদ ধ্বংস করা হয়। সরকারী কর্মকর্তারা যাচাই বাছাই ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারী গাছ বিলিয়ে দিয়েছেন। ইতি মধ্যে উল্লেখিত প্রতিবন্দী স্কুলের পরিচালক ৪০০/৫০০ টি গাছ কর্তন ও অপসারন করিয়াছেন। উল্লেখিত অবৈধ সরকারী গাছ কর্তন ও পাচার বন্ধ করিয়া এবং ঘটনা স্থলে তদন্ত করিয়া মোঃ হাসেম পরিচালককে গ্রেপ্তার করিয়া দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান এবং সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের জন আকুল আবেদন করিতেছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। আরো জানিতে পারিলাম সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা বহু টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে করাত কলের লাইসেন্স দিয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া করাত কলে সিরাজগঞ্জ বন বিভাগে অবৈধ কাঠ চিরাই ও পাচার হইতেছে।
তাং ১৭/১০/২০২০ ইং ইতি
সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জ এলাকার জন সাধারনের পক্ষে
মোঃ আবু শামা
কৈজুরি ইউপি সদস্য
সাং- উল্টা ঢাকা, সিরাজগঞ্জ
অনুলিপি
১। চেয়ারম্যান মহোদয় স্বাধীন দূনীতি দমন কমিশন কার্যালয়, সেগুন বাগিচা ঢাকা।
২। সচিব , পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৩। জনাব মোঃ ছানা উল্লাহ পাটোয়ারী ,বন সংরক্ষক সামাজিক বন অঞ্চল বগুড়া
৪। জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা।
৫। পুলিশ সুপার, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা।
৬। উপ-পরিচালক দূর্নীতি দমন জেলা কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা।
৭। উপ-পরিচালক এন.এস.আই সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা।
৮। সম্পাদক/বার্তা ……………………………………….।