নিজস্ব প্রতিনিধি:আসন্ন পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে আবারও ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে শাহীনের নাম। তৃণমূল থেকে উঠে আসা পাবনার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সোহেল হাসান শাহীন যেমন একটি অত্যান্ত পরিচিত নাম, তেমনি পৌরবাসীর কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি প্রিয় মুখ সোহেল হাসান শাহীন।
যিনি দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা ও যোগ্যতার স্বাক্ষ্য রেখেছেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি ছিলেন পাবনার ছাত্র সমাজের আইডল। ১৯৮৭-৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি পাবনার এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র সংসদের ১৯৮৮-১৯৮৯ সাল ও ১৯৯০-১৯৯১ সালে রাজনৈতিক বিরুপ পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের ভোটে ছাত্র সংসদের জিএস ও ভিপি নির্বাচিত হয়ে এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্মরণকালের জনপ্রিয় ছাত্র নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯৪-১৯৯৮ ও ১৯৯৮-২০০৪ পর্যন্ত তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসাবে তৃণমূলের সমর্থনে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
গত পৌর নির্বাচনেও সোহেল হাসান শাহীনকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ছিলো ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীক নৌকা না পাওয়ায় তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ায়। সৎ এবং যোগ্য ব্যক্তি শাহীন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা যায়।
আসন্ন পৌর নির্বাচনে সোহেল হাসান শাহীন আবারও প্রার্থী হওয়ায় তাকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আবারও ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর এলাকার আব্দুস সালাম বলেন, শাহীন পাবনার রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। তার সততা আর যোগ্যতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিপদে আপদে সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। তাই আশা করছি দল এবার পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে তুলে দেবেন। যিনি তার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে পৌরবাসীর সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। বর্তমানে শাহীন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে সোহেল হাসান শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। বিরোধী দলে থাকার সময় তৎকালীন জামায়াত বিএনপি সরকারের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। ১/১১ তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে তার প্রতিবাদে মিছিল করার প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার।হয়েছি। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আওয়ামী রাজনীতে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি। বর্তমানে ২০০৪ সাল থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে থাকায় সাধারণ মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ অত্যন্ত নিবীড়, যা একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করেছে। আমার উপর তাদের এই আস্থা বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, এবারের মতো গত পৌর নির্বাচনেও ভোটারদের মধ্যে একটা আগ্রহ ছিলো আমাকে নিয়ে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি, এবং দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে দল যাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলো তার পক্ষে নির্বাচন করি।
এবারও ভোটারদের মধ্যে আমাকে নিয়ে একটা আগ্রহ রয়েছে। যদি সবকিছু বিবেচনা করে দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন পৌর নির্বাচনে পাবনা সদর পৌরসভায় আমাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেন, তাহলে ইনশাল্লাহ্ পৌরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পৌরবাসীর সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাবো এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক উন্নত সোনার বাংলা গঠনে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবো।