মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদে ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ আহরণ শুর হয়েছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে কাপ্তাই মৎস্য পল্টন,আপ স্টিম জেটি ঘাট, জেলে-মাঝি মাললা,ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ।গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক সভায় মাছ শিকারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লিপন মিয়া সহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বিএফডিসি’র তথ্য দেয়া তথ্যে জানা যায, প্রতিবছর হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তরের লক্ষ্যে প্রতিবছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন, বংশবৃদ্ধি ও মজুদ বাড়াতে প্রতিবছর তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকে মাছ ধরা।
প্রতি বচ্ছর মে মাসের ১ তারিখ থেকে মাছ ধরা বন্ধ করা হলেও এবছর ২০ এপ্রিল থেকে ১৯ জুলাই তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পরে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সে নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়িয়ে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীতে আরেক দফায় হ্রদের পানি ঘোলা থাকায় বন্ধের সময়সীমা বাড়লো আরও ১০ দিন। সব মিলে চার মাস ১২ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হোয়াই ৩১ আগস্ট সারাদিনব্যাপী ও গভীর রাত পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নামার সকল প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে ব্যবসায়ী ও জেলেদের।
কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেন, আপ স্টিম জেটি ঘাটের ব্যবসায়ী কামাল হাকিমসহ মানবাধিকার প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইউনুছ সাক্ষাৎকারে বলেন,কাপ্তাই ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপস্টিম জেটিঘাট, মাছের ভান্ডার নামে খ্যাত কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদ ।
আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ শিকার শুরু হওয়ায় কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আবার ফিরে এসেছে, ফলে ব্যবসায়ী, মাঝি মামলা, জেলে ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (ফিশারি পল্টনে) সম্পৃক্ত সকলেই ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন।