আল এনায়েত করিম রনি,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজারে আদালতের স্থিতিবস্তা উপেক্ষা করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া জমির মালিকের কাছ থেকে জমি ক্রয় দেখিয়ে অন্যের জমিতে জোড়পূর্বক দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাসহ কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত স্থিতিবস্তার নির্দেশ দিলেও একটি পক্ষ নির্দেশ না মেনে রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মানের চেষ্টা করায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী বাজারের উত্তর অংশে কাউয়াহাগা সড়কে অবস্থিত সন্যাসী গ্রামের মৃত: আমির বকস চৌধুরীর নামে রেকর্ডভুক্ত জমি তার পূত্র মৃত: মাহাতাব আলী চৌধুরীগং ভোগদখল করার পর ওয়ারিশ সূত্রে বর্তমান মালিক তার পূত্র গোলাম মওলা চৌধুরীগং। পিতার কাছ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ৮শতক জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। ওই ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মৃত: আব্দুল হাকিম ব্যাপারীর পূত্র হবিবুর রহমান ও তার আপন বোনজামাই আব্দুল জলিল কাঁঠালবাড়ী বাজারে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে খাস জমিতে অস্থায়ী দোকানঘর বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এই দোকানঘরের পিছনেই রয়েছে গোলাম মওলা চৌধুরীরগং এর জমি। হবিবর রহমান ও আব্দুল জলিল উভয়ে যোগসাজস করে গোলাম মওলা চৌধুরী গংদের ৮শতক জমি দখল চেষ্টা করে সেখানে ইট, বালু, সিমেন্ট ফেলে বড় পরিসরে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে গোলাম মওলা চৌধুরীগং ও তার লোকজন বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনায় গোলাম মওলা চৌধুরীগং বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়ায় নোটিশ প্রাপ্ত হন বিবাদীগণ। নোটিশ পেয়েই বিবাদী হবিবুর রহমান ও আব্দুল জলিল রাতের আঁধারে জোড়পূর্বক দোকানঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাদী গোলাম মওলা চৌধুরী জানান, আমার আত্মীয়-স্বজনগণ বাইরে চাকুরী করার সুযোগে আমাদের ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমিতে হবিবুর রহমান ৬শতক ও আব্দুল জলিল ২শতক জমি ভুয়া মালিকের কাছে ক্রয় দেখিয়ে বেদখল করার চেষ্টা করলে আমি ৩ অক্টোবর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করি। এরপর বিবাদীগণ জোড়পূর্বক দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে ৪ অক্টোবর আদালত স্থিতিবস্তার আদেশ দেন। এছাড়াও ৭ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। বিজ্ঞ আদালত স্থিতিবস্তা জারি করলেও বিবাদীগণ তা মানছেন না। তারা গায়ের জোড়ে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। আমরা চাই প্রকৃত মালিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ ব্যাপারে বিবাদী হবিবুর রহমানের (০১৭২১৭৬৫৪৯৭) নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।