তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : কাগজ পত্রের ত্রুটি নেই। বিভিন্ন অফিসে দৌড় ঝাপ করেও মেহেরপুর বিআরডিবির মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির মাঠ সংগঠক সাবদার রহমান অবসরকালীন ভাতা ও পেনশন পাচ্ছেন না। অবশেষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী। রোববার মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলনে সাবদার জানান-২০০৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান। অবসর পরবর্তী তাকে চাকুরীকালীন সিবিএফ এর ৬০ হাজার এবং গ্রাচুইটি ৭২ হাজার ৩৭০ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি অবসরকালীন ভাতা ও পেনশন প্রদানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছেন। তিনি জানান-সরাসরি বিষয়টি নিয়ে ডিজি সাহেবের সাথে দেখা করলে ডিজি সাহেব প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করতে বলেন। প্রযোজনীয় সকল কাগজপত্রসহ গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী বরাবর অবসরকালীন ভাতা ও পেনশনের জন্য আবেদন করি। পেনশন প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (এমপি)।
তারপরেও তিনি পেনশন না পাওয়াতে বৃদ্ধ বয়সে ওষুধ কেনার টাকাও জোগাড় করতে পারছেন না বলে দাবি করেন। সাবদার রহমান ১৯৭৬ সালের ১২ মে চাকুরিতে যোগদান করেন। অবসরে যান ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ঢোলমারি গ্রামের মৃত আলী মোহাম্মদ এর ছেলে। বার্ধক্যজনিত অনেক রকম রোগে বাসা বেধেছে তার শরীরে।বয়সের ভারে নুইয়েপড়া এ বৃদ্ধ সাবদার আলীর অভাবের সংসারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিআরডিবির উপ-পরিচালক জাকিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন- সাবদার রহমানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠিয়েছি। সেখানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশও আছে। কেন তিনি অবসরকালীন ভাতা ও পেনশন পাচ্ছেন না তা ওপর মহলের ব্যাপার।