এসএম রিমন হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে আরবের মরুর বুকে জন্ম হয়েছিলো আমাদের প্রাণের প্রিয় নবী ও ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর।
মুসলিমদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে ঈশ্বরদী আটঘরিয়াবাসী সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাবনা -৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি ।
মহানবীর জন্মদিন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেছেন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতে জর্জরিত পৃথিবীতে মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ গড়ে তোলেন। তাই মহানবী’র (দ.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ।
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমন ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও ঈশ্বরদী উপজেলা বাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয়নবীকে (সা.) এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারাজাহানের জন্য রহমত হিসেবে। পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতে জর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।
১৪ শত বছর আগের এ দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তার আগমন পৃথিবীকে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা। ৬৩ বছর বয়সে এ দিনেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাই সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।
উল্লেখ্য, বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল (সা.)-এর পিতা আবদুল্লাহর ঘর অবস্থিত। ‘শিআবে আলী’র প্রবেশমুখ হিসেবে পরিচিত জায়গাটি। তৎকালীন সময়ে বনি হাশেম গোত্রের লোকেরা যে জায়গায় বসবাস করতেন সেটিকেই ‘শিআবে আলী’ বলা হতো।
ইতিহাসবিদদের মতে, বাবা আবদুল্লাহর যে ঘরে মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি এই জায়গাতেই ছিলো। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসুল (সা.) এ ঘরেই বসবাস করতেন বলে জানা যায়।