নিজস্ব প্রতিবেদক : পাহাড়ের সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রীক) দু সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারে জেলার পানছড়িতে বিপুল চাকমা সহ চার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পানছড়ি উপজেলায় হরতাল চলছে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করছে।
হরতাল সফল করতে রবিবার ভোর থেকে পিকেটাররা পানছড়ির বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালায়। হরতালের কারণে উপজেলা থেকে জেলা ও অন্যান্য স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়াও বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। একই সাথে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচির কারণে রবিবার সাপ্তাহিক হাটবারেও পানছড়ি বাজারে লোক সমাগম তেমন হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিল পাড়া গ্রামে একটি বাড়িতে পাহাড়ের সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসিত) ও ইউপিডিএফ (গনতান্ত্রীক) দু সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারে আক্রমণ করে । এতে ইউপিডিএফ (প্রসিত) সমর্থীত পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (রহিনসা) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়, অপর তিন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা কে অপহরন করে নিয়ে যায় । পরে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর অভিযানে তাদের উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।