পাবনা জেলার ৬টি স্থানীয় পত্রিকায় ১৭ ই নভেম্বর ২০২০ ইং এ প্রকাশিত সংবাদ,যার শিরোনাম ও বিষয়বস্তু,ভাষা ও বক্তব্য প্রায় অভিন্ন,যথা ২শ কোটি টাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল-মুক্ত করার দাবীতে বিক্ষোভ; সে বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্শণ করেছে । আমাদের বক্তব্য এ বিষয়ে সুস্পষ্ট,দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট ।
মরহুম মৌ: আবু মো: আবদুল্লাহ ও তার দুই পুত্র মো: আজিজুল করিম ও সৈয়দ মো: আমিনুল করিম ওয়াকিফদ্বয় হাজি আবদুল বারি ও মোছাম্মত লতিফুন্নেচ্ছা খাতুন এর বংশধর । তদানিন্তন ওয়াকফ প্রশাসক যথা নিয়মে ওয়াকফ এস্টেটদ্বয়ের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ দেন । এ নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি বা আইনের ব্যতায় হয় নাই,বরং ১৯২৪ সালে সম্পাদিত দুটি ওয়াকফ এস্টেট যথা ইসি ৭২২,৭২১ পাবনা পরিচালনায় ১৯৫৮ সন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও সরকারি খাজনা পরিশোধের ব্যর্থতায় দুই দফা প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ১৩ বিঘা জমি এবং জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ,প্রজা সত্ত্ব আইন এবং রেল ও থানা স্থাপনে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণে বেশ কিছু জমি ওয়াকফ এস্টেট হতে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় । অত:পর,ওয়াকফ এস্টেটদ্বয় পরিচালনায় দলিলের শর্ত মোতাবেক ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি,যারা সকলে সুশিক্ষিত,সমাজে সু প্রতিষ্ঠিত, দুঃস্থের সাহায্যে সর্বাধিক অগ্রগামী,নিয়োজিত রয়েছে ।
উল্লেখ্য,আলোচ্য ওয়াকফ এস্টেটদ্বয়ের আয় দলিল মোতাবেক সু সম্পন্ন হয় এবং নিয়মিত প্রতি বছর বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক পরিচালিত আয়-ব্যয়ের অডিট,মাঠ পরিদর্শন,অভাব অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষন হয়ে আসছে ।
আমিনপুর বাজারে অবস্থিত কথিত মাদ্রাসা যার নাম বহুবার পরিবর্তন করে ব্যক্তি স্বার্থ পূরণের মনস্কামনা পূরণে ওয়াকফ এস্টেট দ্বয় ভুক্ত সকল সম্পত্তি কুক্ষিগত করার সকল প্রকার প্রচেষ্টা বারংবার ব্যর্থ হয় ; আইনানুগ ব্যবস্থায় সুফল না পেয়ে অধৈর্য হয়ে দেশে বিরাজমান ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোবল চলাকালীন সময়ে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা ঝুঁকি অবজ্ঞা করে অবৈধ্য সমাবেশ,বিক্ষোভ,মানব বন্ধন এই কথিত মাদ্রাসার উদ্যোগে করার মোটিভ সু স্পষ্ট,প্রকৃত পক্ষে এই আচরন আইন ও আদালত অবমাননার শামিল ।
উল্লেখ্য, ড. এস.এম আমিনুল করিম সর্বশেষ মোতাওয়াল্লী তার তিন বছর মেয়াদ শেষ হবার পর,কথিত মাদ্রাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্যগণ পাবনা জেলা জজ আদালতে জনাব আমিনুল করিম এর পুনঃ নিয়োগ বানচাল করার উদ্দেশ্যে নালিশি মামলা দায়ের করেছে, মামলা নং -A-৩৮ ২০১৬ যা বিচারাধীন আছে ।
আরো উল্লেখ্য, মাদ্রসার আংশিক জমি ও মাদ্রাসা সংলগ্ন জমির প্রকৃত মালিক জনাব হাফেজ আবদুল হামিদ তিনি সরকারি নিলাম খরিদকৃত সূত্রে বৈধ্য মালিক । তাঁর মৃত্যুর পর খরিদকৃত জমি দখলে রাখার শিথিলতার সুযোগে হাজি আজিজুল ইসলাম মঞ্জু গং ধর্মীয় উম্মাদনায় মাদ্রাসা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে এই ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল নিয়ে দোকানপাট স্থাপন, ভাড়া,সালামী গ্রহণ করে ধর্মীয়-ব্যবসার প্রবর্তন,প্রসার ঘটান । এ বিষয়ে অর্থ্যাৎ জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে-হাইকোর্টে মামলা চলছে ।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কথিত মাদ্রসা ওয়াকফ সম্পত্তিভূক্ত প্রকৃত মাদ্রাসা নয়,প্রমাণ মিলবে পাবনা জেলা বিশেষ জজ,জেলা জজ শ্রী অমুল্য কুমার সরকার এর রায় আদেশ তাং ২৬/০৯/২০১৩ এবং সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ হাইকোর্ট ডিভিশন-সিভিল রিভিশনাল জুরডিকশন,২৯ শে জুন ২০১৫ তারিখে প্রদত্ত মাননীয় মি: জাষ্টিস বোরহান উদ্দিনের রায়ে । আইনগত পথ অনুসরণে সুফল না পেয়ে কথিত মাদ্রাসা কমিটি যার সভাপতি জনাব সিরাজুল ইসলাম গং এর ক্ষোভ বিক্ষোভ দানা বাধতে থাকে । তাদের ইচ্ছা বে-আইনী আন্দোলন,মিথ্যাচার,জবর দখল করে অযৌক্তিক দাবী আদায়,কারন আইনের পথে সুফল পাওয়ার আশা নাই ।
বিনা অনুমতিতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমাবেশ,সভা,ক্ষোভ,আপত্তিকর বক্তব্য,মানববন্ধন, সাংবাদিদের ডেকে এনে মোতাওয়াল্লী ও তার ভাই বোনদের বাড়িতে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে,ফটোতালা,এ সকল কার্যক্রম জেলা কোর্ট এ মামলা চলাকালীন সময়ে আইনানুগ নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা না করে আন্দোলন শুরু অশুভ লক্ষণ ,দুরাচার,আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা ও আদালত অবমাননার শামিল ।
কথিত মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তাগণের মনগড়া,মিথ্যা বানোয়াট ও আপত্তিকর বক্তব্য এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় যে সকল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে,তা মানহানিকর এবং আইনে দন্ডনীয় ।
তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২০ ধন্যবাদান্তে,
ড.এস,এম আমিনুল করিম
পরিচালক কমিটির সদস্য ও মোতাওয়াল্লী (পূন:নিয়োগ সাময়িক বিরত)
অবসর প্রাপ্ত সদস্য,গ্রেড-১
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড