ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দশ বছর বয়সী হাসিবুল শেখ নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । ৬ ডিসেম্বর রোববার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্টান্ড সংলগ্ন আলহাজ্ব রহমতিয়া স্মৃতি শিশু সনদ হাফেজি ও কওমী মাদরাসার পাশে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে হাসিবুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবী হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে।পরে দুপুর নাগাদ হত্যার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার ও মরদেহের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ।
মৃত হাসিবুল শেখ ওই মাদরাসার নাজেরানা কোরআন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোবহান শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে খেলা করে ঘুমিয়েছিল সবাই। সকালে ফজরের নামাজ শেষে জিহাদী ও কাওছার নামের দুই শিক্ষার্থী হাসিবুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে সবাইকে জানায়।
এদিকে ওই রাতে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মাদরাসায় ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও আবাসিকে রাতে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। আমি ফজরের নামাজ পড়তে ছেলেদের ডাকলে হাসিবুলের সাথে যে ঘুমায় ও বলে হাসিবুল আগে উঠে চলে গেছে। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে আমি জানিনা। এদিকে ঘটনার পরই পেয়ে থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই‘র সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে পুলিশ সুপার বলেছেন মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই হত্যার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, শিশুটির মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছে।পরে পার্শ্ববর্তী একটি ফাকা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে আমরা আশা করি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও হত্যাকারীকে সনাক্ত করতে পারব। নিহত শিক্ষার্থীর মা তাসলিমা বেগমের দাবি মাদরাসার মধ্যে তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। হত্যাকারী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।