ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচন পূর্ববর্তী অনেকটা হীম শীতল অবস্থা বিরাজ করছে ।দলীয় হাই কমান্ডের নির্ধারনের আশায় মুখিয়ে আছে মেয়র প্রার্থীরা।দলের মনোনয় প্রত্যাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আগ্রহী ৪ জন আর জামাত বিএনপির ঘাটি হিসেবে পৌরসভায় বিএন পির প্রার্থী বর্তমান মেয়র ।কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে কেউ দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে কেউ বিদ্রহী হতে চাইছে।
দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলার স্বাধীনতার পর বাগেরহাট-৩ আসনের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগই বিজয় লাভ করেছে বার বার কিন্তু পৌর এলাকার চিত্র ভিন্ন বহু আঞ্চলিক মানুষের বাস হওয়ায় পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগ বিএনপির আধিপত্য দেখা গেছে বার বার।তবে বিএনপি জামাতের নেতৃত্ব সংকটে থাকায় যে কোন প্রার্থীতার পতিদ্বন্দিতায়ও এর প্রভাব দেখা গেছে।জামায়াত বিএন পির মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতা খুব নগন্য।পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছাড়া ছড়ি।খোদ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে দৌড় ঝাপ করছেন ২ জন প্রবীন ও ২ জন নবীন নেতা মোট ৪ জন।তারা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন নেতা ইদ্রিস আলী ইজারাদার ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ,নবীন দের মধ্যে সাবেক পৌর চেয়ারম্যানের সুযোগ্য পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম ও বর্তমান মোংলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উদিয়মান তরুন নেতা ইকবাল হোসেনের দৌড় ঝাপের গুঞ্জনের খবর শোনা যাচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চার জনের মধ্যে যার নাম বেশী শোনা যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন সাবেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও জনপ্রিয় নেতা ইদ্রিস আলী ইজারাদার এর।গত পাঁচ বছর আগে যখন পৌর নির্বাচনের গুঞ্জন চলছিল যেটি সীমানা জটিলতার মামলায় আটকে যায় তখন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনিত ও টিকিট প্রাপ্ত নির্ধারিত প্রার্থী ছিলেন এই বীর মুক্তি যোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার।
সীমানা জটিলতায় আটকে থাকা মোংলা পোর্ট পৌরসভার বর্তমান নির্বাচনী সমিকরণ সবারি অজানা কারন ৯ টি ওয়ার্ডের ৮ টি কাউন্সিলর ও মেয়র পদ জামায়াত বিএনপির দখলে।তার পর কাটলো দশ বছর সীমানা জটিলতায় আর নির্বাচন মুখী হতে পারেনি পৌর নগর বাসী।ক্ষমতাসীন দল কতটা আধীপত্য বিস্তার করেছে পৌর এলাকায় যদিও বার বার নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জয়লাভ করেছে বাগেহাট-৩ আসনে (মোংলা-রামপালে) তবে পৌর এলাকায় চিত্র ভিন্ন।
মোংলা পোর্ট পৌর সভার নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র ও কাউন্সির প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এ নির্বাচনী দলীয় সমর্থন ও মনোনয়ন পেতে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নানা তৎপরতা। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক প্রার্থীদের তেমন সাড়া না থাকলেও আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকদের তৎপরতা রয়েছে চোখে পড়ার মতো।মোংলা বন্দর ও শিল্পাঞ্চল কেন্দ্রিক শ্রমিক অধুষিত এ পৌর সভার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার বলে জানায় উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসার। এ পৌর সভায় সর্বশেষ নির্বাচন আনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারী। এতো দিন সীমানা জটিলতার মামলায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন আটকেছিল।
দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ২০ ডিসেম্বর মনোপত্র দাখিল ও আগামী ১৬ জানুয়ারী মোংলা পোর্ট পৌর সভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ নির্বাচনে অংশ গ্রহন ও সম্ভব্য প্রার্থীরা দলীয় সমর্থন ও মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে দৌড় ঝাপ শুরু করছেন নির্বাচনের অংশ নেয়ার জন্য দলীয় প্রার্থীরা। ইতি মধ্যে লোভিং শুরু করছেন দলের স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে হাইকমান্ড পর্যন্ত।
তবে পৌর নির্বাচন কে ঘিরে উৎসব মুখর হলেও অপর দিকে একটা নীরবতা বিরাজ করছে তাই মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে আগাম প্রচারনায় কেউ মাঠে নামার টু শব্দটি ও করছেনা। দলীয় নির্দেশ অপেক্ষায় যেন বসে আছে নেতা কর্মিরা।তবে মোংলা আওয়ামী লীগের অবিভাবক ও খুলনা সিটি মেয়র স্পষ্ট বলে দিয়েছেন দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে সবইকে কাজ করতে হবে অন্যথায় দল থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।