তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : মেহেরপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী নদী কাজলা। গাংনী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে সদর উপজেলা হয়ে মিশেছে ভৈরবে। সদর উপজেলার রাজনগর ও কলাইডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে দিয়ে বহমান এই নদীর মাঝে পাড় বেঁধে আবাদি জমির পাশে পুকুর করে মাটি দেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়। প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস হয়নি কারো। ভাটা মালিকদের দাবি কাজলা নদীর মাঝে তার জমাজমি আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মাঝে অবস্থিত এসএসবি ইট ভাটা। কাজলা নদীর মাঝামাঝি পাড় বেঁধে তৈরি করা হচ্ছে পুকুর। আবাদি জমির পাশেই সেই পুকুর। স্কেভেটর(ভেকু) মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি তুলে ট্রাক্টর টলিতে মাটি ভরা হচ্ছে। এই মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে সেলিম মোল্লার মালিকানা এসএসবি ভাটা ও তার ভাগ্নে সজল মোল্লার ইট ভাটায়। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারনে কেউই কিছু বলার সাহস করছে না। স্থানীয় কয়েকজন সংকোচের সাথেই বলেন সেলিম মোল্লা বলেছে জমি আমার তবে কাজলার ভিতরে তার জমি আছে কিনা সে আর সরকারের লোক জানে।
কাজলা দখল করে এবং জমি শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতি ছাড়া কিভাবে আবাদি জমিতে পুকুর কাটতে স্কেভেটর(ভেকু) মেশিন দিয়ে পুকুর কাটছেন জানতে চাইলে মেশিন মালিক সাজেদুল ইসলাম হেবল বলেন, আমার কয়েকটি গাড়ি। মিজান নামের একজনের কাছে গাড়ি ভাড়ায় দিয়েছি। কোথায় মাটি কাটছে তা আমি জানি না। কাজলা নদী দখল ও জমির শ্রেণী পরির্বতন করে পুকুর করার বিষয়ে জানতে চাইলে সজল মোল্লা বলেন, এই জমি আমি ও মামা যৌথভাবে কিনেছিলাম। ভাটায় মাটি দরকার তাই নিজের জমি পুকুর করছি।
এসএসবি ভাটা মালিক সেলিম মোল্লা বলেন, ইট ভাটায় মাটি লাগে জেলার সবাই জানে যে মাটি দিয়ে ইট কাটা হয়। আমরা পুকুর না করলে মাটি পাবো কোথায়। মাটি আমরা কাটি আমরা যদি মাটি না কাটবো তাহলে মালিক সমিতিকেই টাকা দিবো কেনো। জমি আমার দাদার আমলের আমি চাচার কাছ থেকে কিনেছি। কাজলা দখল করিনি কাজলার মাঝে পাড় দিয়েছি। পাড় দেওয়ার পরেও আমার জমি আছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম জানান, কাজলা দখল করে মাটি কাটছে বিষয়টা আমার জানা ছিলোনা। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।