জালালউদ্দিন মনির নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : সরকারী নিয়ননীতির ব্যতয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তার কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকায় প্রনয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় এবং জেলা প্রশাসকের সুপারিশক্রমে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে , স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)আইনের ধারা অনুযায়ী তার স্বীয় পদ থেকে ,সাময়িক বরখাস্ত করে কারন দর্শনোর নোটিশ দিয়ে গত ২৮ মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই অবস্থায় বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান কবির আহমেদের ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আল আমিন তার ফেসবুক টাইমলাইনে জানান,পার্শবর্তী কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে একটি মারামারির ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কবির আহমেদ চেয়ারম্যানকে আসামী করা হয়েছে। হাইকোর্ট বন্ধ থাকায় জামিন নিতে না পেরে নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি এলাকায় অনুপস্থিত। সে কারনে তিনি তালিকা তৈরি করতে পারেনি। তৈরি হওয়া তালিকায় চেয়ারম্যানের কোন স্বাক্ষরও নেই। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান তালিকায় স্বাক্ষর করেছেন।
তালিকায় আমার ভাইয়ের নাম,স্ত্রী,সন্তান.ভাই, বোন কারও নাম নেই। তারপরেও কিভাবে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে তালিকায় দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা অবশ্যই মোকাবেলা করবো। আল আমিন আরো বলেন,আমার ভাই হাজী কবির আহমেদ বীরগাঁও ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান, এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গত ১০বছরে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে নুন্যতম অনিয়ম কিংবা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিলো না” একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন পদক ও পেয়েছেন। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময় আমাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও বীরগাঁও ইউনিয়নের মানুষের শান্তির লক্ষে শত বাঁধা বিপত্তি হামলা মামলায় ধৈর্য্য ধারন করে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমার ভাই নিজেকে উৎস্বর্গ করে রেখেছেন। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা (আপা) এর ২৫০০ টাকা বিতরনের তালিকায় বীরগাঁও ইউনিয়ন তাহের মেম্বার তার স্ত্রী এবং কন্যার নাম এবং বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের আপন বড় ভাই, আলমগীর মেম্বার তার স্ত্রীর নাম দিয়েছেন। আর সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ভাইকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এই পর্ব শেষ হলে, হাইকোর্টের বিষয় রয়েছে” অল্প করে শুধু বলবো, আইনের চোখে আমার ভাই অপরাধী না হয়েও যদি চেয়ারম্যান পদ না থাকে তাহলেও আমরা বিচলিত নয়”জনগন চেয়েছিলো, তাই দুইবার চেয়ারম্যান হয়েছে”জনগন যদি না চান তাহলে চেয়ারম্যান হবেন না। তবে যারা ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান হবার স্বপ্ন দেখছেন এবং অপপ্রচার করছেন তারা নিশ্চিত জেনে রাখুন। আমরা রাজনীতি করি, জবাব রাজনৈতিক ভাবেই দিবো” চার বছর আগেও যারা চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে মামলা করে চেয়ারম্যান হয়ে গেছেন বলে অপপ্রচার করেছেন, মিষ্টি বিতরন করেছেন মিথ্যে স্বপ্ন দেখেছেন তাদের স্বপ্ন এবার ও পুরন হবেনা ইনশাআল্লাহ । প্রেরক-জালালউদ্দিন মনির,নবীনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,মোবাইল-০১৭০৪৬১৬১৮০,তারিখ-২৯-৫-২০২০