ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থীরদের নাম ঘোষনা করেছে দলিয় নিতিনির্ধারকরা। এর অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একক দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় মোংলা দলীয় কার্যলয় থেকে মেয়র,কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষনা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক।
শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড হতে প্রার্থী ও বিভিন্ন সমর্থকরা এসে দলীয় কার্যলয়ের সামনে ভিড় জমাতে থাকে। অপেক্ষায় থাকে দলীয় একক ভাবে কাকে মনোনয় করে প্রার্থী ঘোষনা করা হবে।বিকাল ৫টায় মোংলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয় এসে উপস্থিত হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক। প্রথম পর্যায় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের ও পরে ৯টি ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলর পদে প্রত্যাশীদের মনোনয়ন বোর্ডে এক এক করে ডাকা হয় এবং সক্রিয়ভাবে দলীয় কার্যক্রমের বিষয়ে পর্যালচনা করে মনোনয়ন বোর্ডের মাধ্যমে। রাত ৮টায় এ মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এক আলোচনা সভা শেষে দলীয় একক প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হয়।
মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে দলীয়ভাবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাগেরহাট জেলার পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে পৌর মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতার জন্যে চুড়ান্ত করা হয়।কাউন্সিলর প্রার্থী ১ নং-ওয়ার্ডে এস এম কবির, ২ নং-ওয়ার্ডে এইচ এম শরিফুল ইসলাম, ৩নং-ওয়ার্ডে মোঃ বাহাদুর মিয়া, ৪নং-ওয়ার্ডে মোঃ শফিকুর রহমান খানঁ, ৫ নং-ওয়ার্ডে শরিফুল ইসলাম শরিফ, ৬ নং-ওয়ার্ডে জি এম আল আমিন, ৭ নং-ওয়ার্ডে হুমায়ুন হামিদ নাসির, ৮ নং-ওয়ার্ডে সরোয়ার হোসেন ও ৯ নং-ওয়ার্ডে মোঃ মজনু গাজীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় ভাবে পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য নির্বাচিত করা হয়। তবে এ পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পৌর মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষনা করবেন দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানায় সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেক। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্দেশনা পেয়েছেন (১,২,৩) জাহানারা হোসেন চানু, (৪,৫,৬) মিস জোহরা বেগম ও (৭,৮,৯) শিউলী আক্তার।
উল্লেখ্য,২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারী মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে সিমানা জটিলতার দেখিয়ে মামলায় নির্বাচন আটকে দেয়া হযেছিল প্রায় ১০ বছর। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে ৭হাজার ৯৫৮ ভোটের ব্যাবধানে নির্বাচিত হয় চার দলীয় সমর্থিত প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার আলী। তাই দীর্ঘ্য ১০ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেকটা উৎসব মুখর আর উৎফুল্ল পৌরবাসী।