ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: মর্মান্তিক ট্রেন দূর্ঘটনার একদিন না পেড়োতেই বড় দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন শতাধিক বড় ছোট যানবাহন। পাবনার ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট লেবেল ক্রসিং গেট খোলা রেখে ঝুঁকিতেই দুটি আন্ত:নগর ট্রেন পার করলেন (অস্থায়ী) দুই নারী গেটকিপার।
অদক্ষ রেলওয়ে গেটকিপার হওয়ার কারণে গেটের বেরিয়ার ভেঙে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এতে বিকল হয়ে যায় ইন্টারলকিং সুইচটি। পরে পুলিশ সচেতন মানুষের সহায়তা নিয়ে লোকজনকে সহায়তায় রেলগেট খোলা রেখে ঝুঁকিতে পার হয় দুটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন। এদিকে দীর্ঘসময় যানজট সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে রেলওয়ে কর্মচারীরা উপস্থিত হয়ে ইন্টারলকিং সুইচটি মেরামত করতে আসে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে ঈশ্বরদী-খুলনা রেল রুটের’ঈশ্বরদী রেলগেট লেবেল ক্রসিং গেটে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়া এবং প্রবেশের ১০ মিনিট পূর্বেই ঈশ্বরদী শহরের ব্যস্ততম সড়কের রেলওয়ের লেবেল ক্রসিং গেটটি বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৬ নাম্বার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ত্যাগ করে রেলওয়ে লেবেল ক্রসিং গেটের সীমানায় চলে আসে। দায়িত্বে ছিলেন দুই অস্থায়ী নারী গেটকিপার।
জংশন স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসতে দেখে তাড়াহুড়ো করে গেট বন্ধ করার চেস্টা করে। তাৎক্ষণিক রেলগেটের দুই পাশে থাকা ‘বেরিয়ার’ ভেঙে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। বিকল হয়ে যায় ইন্টারলকিং সুইচ। বেশ যানজটও সৃষ্টি হয়। ট্রেন দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসে। আশেপাশের সচেতন লোকজন এগিয়ে আসেন। আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটির সচেতন চালক গেটের কাছে এসে গতি কমিয়ে ফেলে। এতে কিছুটা সময় ট্রেনটি বিলম্ব হয়। পরে রেলগেট খোলা রেখে ঝুঁকিতে পার হয় দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন। রক্ষা পায় শতাধিক ছোট বড় যানবাহন। গেটের বেরিয়ার মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়ার কারণে ‘গেটবিহীন’ চলছে ট্রেন।