ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ ও সমুদ্রসীমা লংঘন করে মাছ শিকারের অভিযোগে একটি ফিসিং ট্রলার সহ ১৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে মোংলা কোস্টগার্ড। আজ ২৩ ডিসেম্বর বুধবার ভোররাতে সমুদ্রসীমার ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকালে জাল-ট্রলার সহ আটক ভারতীয় জেলেদের মোংলা থানা পুলিশে সোপর্দ করে কোস্টগার্ড।অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী ‘এফবি মঙ্গল চণ্ডী-৭’ নামে একটি ভারতীয় কাঠের ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক এ তথ্য জানান। আমিরুল হক বলেন, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের জাহাজ অপরাজেয় বাংলা গভীর সমুদ্রে টহল দিচ্ছিলো। এ সময় বাংলাদেশ-ভারত জলসীমার ১০.২ নটিকাল মাইল ভিতরে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ভারতীয় ফিশিং ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখে কোস্ট গার্ড।
পরবর্তীতে তারা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কোস্ট গার্ডের সদস্যরা পিছু ধাওয়া করে বোটটিকে আটক করে। জব্দ করা ট্রলার ও ১৬ জন জেলেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জানায়, সুন্দরবনের দুবলার চরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের দেশীয় জলসীমার ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অনুপ্রবেশ ও মাছ ধরার সময় বুধবার ভোররাতে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের টহল দল অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ফিসিং ট্রলার এফবি মা মঙ্গল চন্ডি সহ ১৬ জেলেকে আটক করে। পরে ট্রলার সহ তাদের মোংলা থানা পুলিশে সোপর্দ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের উপস্থিতিতে জব্দকৃত বিপুল পরিমান সামুদ্রিক মাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। আর আটক ট্রলার ও জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সমুদ্রসীমা আইনের ২২ ধারায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক ভারতীয় জেলেদের বাড়ী ভারতের দক্ষিন-চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানায় পুলিশ। উল্লেখ্য এর আগে গত ২ ডিসেম্বর সমুদ্রসীমা লঙ্গন ও মাছ শিকারের অভিযোগে এফবি শিবানী নামের একটি ফিসিং ট্রলার সহ ১৭ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছিল কোস্টগার্ড।