নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালী : মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে দাবি আদায়ের নামে মানববন্ধন ও এনজিও অফিসকে ঘিরে দালালি কাজে ব্যস্ত রয়েছে সিকদার পাড়া গ্রামের বাদশাহ নামের এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। তার লাগাতার দালালি কারনে অবশেষে ড্রপ এনজিও অফিসকে বদরখালীতে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এতে ক্ষুব্ধ জমির মালিকরা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সিঙ্গাপুর প্রকল্পের জমির মালিকরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে দিন দিন। জানাগেছে, উপজেলার মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য জাপানী সংস্থা জাইকার অর্থায়নে অধিকগ্রহন করা হয়েছে ১৪১৪ একর ও সিঙ্গাপুরের অর্থয়ানে অধিকগ্রহণ করা হয়েছে ১২০০ শত একর জমি। জমির মালিকরা জেলা ভূমি অধিকগ্রহন শাখা থেকে চেক তোলার শাখা থেকে চেক তোলার পর উক্ত চেকের বিপরীতে জাপানী প্রকল্পের ১৪’শ ১৪ একর ভূমির মালিকরা এক কালিন ক্ষতিসহ ২১ ক্যাটাগরীর টাকা উত্তোলন করবে সুশিল এনজিওর মাধ্যমে।
সিঙ্গাপুর প্রকল্পের ১২’শত একর জমির মালিকরা টাকা উত্তোলন করবেন ড্রপ এনজিওর মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে সিকদার পাড়া বাদশাহ নামে এক দালাল ড্রপ অফিসকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে ঘাপটি মেরে দখল করে রেখেছে উক্ত ড্রপ অফিসটি। এমনকি বিভিন্ন জনকে টাকা উত্তোলন করে দেওয়ার আশ্বস্ত করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোস্যল মিড়িয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হলে বদনাম এড়াতে ড্রপ অফিসটি গোপনে স্থানান্তরিত হয়। বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকলে সম্প্রতি সময়ে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর উক্ত রক্তচুষা দালালের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে। অপরদিকে জমির মালিকদের এসব ক্ষোভ ও তার দালালি দামাচাপা দিতে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিপুরণ নামে মাত্র মানববন্ধনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের কয়েকজন জানান, মানববন্ধনের নামে চক্রটি প্রতিজন থেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা হাতিয়ে নিয়েছে। এখনোও পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পায়নি। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পকে ঘিরে দাবি আদায়ের মানবন্ধনের নামে প্রকল্প ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে ক্ষমতাসীনদলের একটি অংশ জানিয়েছেন। অভিযোক্ত বাদশাহ আত্মীয়দের ফাইল জমা ও করেছেন টাকা নিয়েছে বলে জানিয়ে অন্য বিষয়ে কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন।