মেহেদী হাসান আকন্দ : নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যক্ত চুল সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অসংখ্য মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এসব চুল সংগ্রহকারী ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছেন কলমাকান্দা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। জানা যায়, বর্তমানে কলমাকান্দায় পরিত্যক্ত প্রতি কেজি চুল বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ টাকায়। তারা মেয়েদের মাথার ব্যান্ড, রঙবেরঙের বেলুন, ক্লিপ, চিরুনি, চুলের কাঁটা, ফিতা, কাচের চুড়ি, বেলুন ইত্যাদির বিনিময়ে চুল কিনে আনে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে। মেয়েদের সাজুগুজুর জিনিসগুলো একটা প্লাস্টিকের ব্যাগের বাহির দিকে সেফটিপিন দিয়ে আটকানো থাকে। ব্যাগের দুইদিকেই ঝুলানো থাকে বাচ্চাদের খেলনা। ফেরিওয়ালাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ চুল সংগ্রহকারী ফেরিওয়ালার বাসস্থান দিনাজপুর এবং রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। সেখানকার মহাজনরা অগ্রিম টাকা দিয়ে চুক্তি করে রাখে তাদের সাথে। যাতে সংগ্রহ করা চুল অন্য মহাজনের কাছে বিক্রি না করতে পারে। এখান থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ে দিনাজপুর এবং রংপুর গিয়ে মহাজনদের কাছে চুল বুঝিয়ে দিতে আসেন তারা। ফেরিওয়ালা মোঃ কালাম জানান, প্রতিদিন অন্তত ১৬/১৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটতে হয় তাদের। পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে এসব জিনিস বিক্রি করে নিয়ে আসে মেয়েদের পরিত্যক্ত মাথার চুল। ছবি তুলতে রাজি না হওয়া ঢাকার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র জানান, করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় নিজেই সংসারের হাল ধরেছি। কলমাকান্দা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত চুল সংগ্রহ করে থাকি। এসব চুল বিক্রি করে উপার্জিত অথের্ই চলছে কলেজ ছাত্র কালামের সংসার।