পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় ৫৫০০ পিচ নেশা জাতীয় মাদক ও ইয়াবাসহ তিন শীর্ষ মাদক সন্ত্রসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২, । এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পাবনা জেলার সদর থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান করছে । উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে অত্র কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল ০৬ জুন ২০২০ তারিখ ০৭.৪৫ ঘটিকায় ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ আমিনুল কবীর তরফদার এর নেতৃত্ত্বে পাবনা জেলার সদর থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকা হতে আসামী মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ আলামিন শেখ (২৬), পিতা- মৃত জয়নাল শেখ, সাং- আহম্মদপুর (উত্তর পাড়া), থানা- আমিনপুর, ২। মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৬), পিতা- মোঃ রইজ উদ্দিন, সাং- রঘুনাথপুর মধ্যপাড়া, থানা- আতাইকুলা, ৩। মোঃ ওমর হোসেন (৪০), পিতা- মৃত আবুল কাশেম সরকার, সাং- গাঙ্গুহাটি (সরকার পাড়া), থানা- আতাইকুলা, সর্ব জেলা- পাবনাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পূর্বক তাদের নিকট হতে ৫৫০০ (পাঁচ হাজার পাঁচশত) অবৈধ নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীগন দেশের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ইয়াবা নিজের হেফাজতে রাখিয়া পাবনা জেলাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল বলে স্বীকার করে । আসামীদের বিরুদ্ধে পাবনা জেলার সদর থানায় মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে ।
র্যাব-১২ সিপিসি-২ পাবনার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ আমিনুল কবীর তরফদার র্যাব বলেন র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই খুন, অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দুঃসকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এই ব্যাপারে র্যাব-১২ এর আওতাধীন এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জন করেছে । গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব ইতিমধ্যে জনগনের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও র্যাব তার নিজস্ব এলাকার আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি রোধে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে । বর্তমান উদ্ভুত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে র্যাব তার অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং, জনগনের নিজ ঘরে শান্তিপূর্ন অবস্থান নিশ্চিত করণ, জনসচেতনা বৃদ্ধি, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও মজুদ মালামাল এর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে ।