এস, এম, সাইফুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ফুরফুরার বার্ষিক ঈসালে সওয়াব মাহফিল। শনিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হবে। পাকশীর ফুরফুরার এ মাহফিল প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল থেকে থেকে শুরু হয়ে হয়ে আগামী শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে ওয়াজ ও ঈসালে সওয়াব মাহফিল শেষ হবে। ফুরফুরা মাহফিল সূত্রে জানা যায়, ১৯৩২ সালে ফুরফুরা দরবারের কায়েম মোকাম পাকশীর গোড়া পত্তন হয় এবং ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই সময়ে ওয়াজ ও ঈসালে সওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত পাকশীর এই দরবার শরীফ। প্রতিবছর মাহফিল উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগমন ঘটে।
অনেকেই বুধবার থেকে শুরু করে শনিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করে বাড়ি ফেরেন। তবে শুক্রবারের জুম্মা নামাজে সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। শুক্রবারের জুম্মা নামাজের পর তাবারকের ব্যবস্থা করা হয়। ফুরফুরার রেওয়াজ অনুযায়ী এবারেও পুরো মাহফিল পরিচালনা করবেন ফুরফুরা শরীফের বর্তমান গদ্দীনশীন পীর আল্লামা শাইখ আবু বকর আব্দুল হাই মেশকাত সিদ্দিকী আল কুরাইশী। এছাড়া মাহফিলে তাশরিফ রাখবেন হযরত মাওলানা আবু ইব্রাহিম মুহাম্মদ উবায়দুল্লাহ সিদ্দিকী আল কুরাইশী (মেঝ হুজুর), হযরত মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মতিউল্লাহ সিদ্দিকী আল কুরাইশী (সেঝ হুজুর), হযরত মাওলানা আবুবকর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী আল কুরাইশী (ছোট হুজুর) ও দেশ বিদেশের ওলামায়ে কেরামগন কোরআন হাদিসের আলোকে ওয়াজ নসিহত করবেন।
সার্বিক তত্ত্ববধানে থাকবেন মোঃ গোলাম মোস্তফা চাঁদ। তিনি বলেন, ফুরফুরা শরীফের বর্তমান গদ্দীনশীন পীর আল্লামা শাইখ আবু বকর আব্দুল হাই মেশকাত সিদ্দিকী আল কুরাইশীর সার্বিক ব্যস্থাপনায় পাকশীতে রয়েছে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে আবাসিকভাবে হেফজখানাসহ দাওরায়ে হাদীস লেখাপড়া করানো হয়। অতি সুন্দর পরিবেশে আবাসিকভাবে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে প্রস্তুতি দেখার জন্য সেখানে গেলে বিশাল প্যান্ডেল চোখে পড়ে। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং মাস্ক পরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাহফিল শোনার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি চলছে। ঈসালে সওয়াব মাহফিল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এবং মাহফিল পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। এই মাহফিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে হাজার হাজার মুসল্লি মাহফিল ময়দানে সমবেত হয়েছেন।