মাহফুজ আলম, কাপ্তাই থেকে : রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ধানাধীন বাঙ্গালহালিয়ায় ৩০০ কার্তুজসহ সুইচাচিং মারমা (৫৩) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৮টায় পাহাড়িকা লাইব্রেরীর গলির ভেতরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার আটককৃত ব্যাক্তিকে রাঙামাটি জেলা আদালতে সোপর্দ করেন বলে জানা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে ইউপি নির্বাচনে পাহারকে অশান্ত করতে মিজোরাম থেকে অস্ত্র আনছে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্র-গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সশস্ত্র তৎপরতায়লিপ্ত সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে একটি চালান ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপদে নিয়ে আসতে সক্ষম ও হয়েছে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী একটি দল।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রথম চালানটি নিয়ে আসলে ও দ্বিতীয় চালানটি ক্রয়কৃত মূল মালিক পক্ষের হাতে পৌছানোর আগেই আটক করতে সক্ষম হয়েছে যৌথবাহিনী সদস্যগণ।
আটককৃত হলেন রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দা হেড ম্যান পাড়ার মৃত থোয়াইসা প্রু মারমার ছেলে।গাইন্দা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্দ্রঘোনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বাংগালহালিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে শুকনা মরিচের প্যাকেটের ভেতর লুকানো অবস্থায় তার কাছ থেকে ৩০০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।এসব গুলির গায়ে মেড ইন ইন্ডিয়া লিখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব কার্তুজ সে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের মিজোরাম থেকে এনেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী দলগুলো এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে গুলিগুলো আনে। এই ঘটনায় চন্দ্রঘোনা থানার অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নাস্বার -০৫, তারিখ : ১৯/০২/২০২১ইং