মদন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা মদন উপজেলা মাঘান ইউনিয়নে ঘাটুয়া গ্রামের নয়ন তালুকদার এর ছেলে রবি মিয়া মিথ্যা বানুয়াট মামলা হতে মুক্তি চায়। একই গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে মোঃ লাল চান মিয়া বাদি হয়ে গত ১৬ই আগস্ট ২০২০ তারিখে মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ (১)/৩০ ধারা মামলা দায়ের করে এতে রবির বাবা সহ ৫জন ও অজ্ঞাত নামা ২জন মোট ৭জন আসামী করে মামলা দায়ের করে। মদন থানার এস আই মোঃ জসিম উদ্দিন মামলাটি তদন্ত করে, তারই ফাঁকে রবি মিয়া গ্রেফতার হয়। গত ৩রা ফেব্রুয়ারী ২১ সালে মদনথানা হতে ফৌজদারী বিধান মোতাবেক ১৭৩ ধারা মতে চুড়ান্ত রির্পোট নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে যে, উক্ত আসামীদের নামে বাদির আনিত অভিযোগটি তথ্যগত ভুল ধারা প্রমাণিত হওয়ায় তাহাদেরকে অত্র মামলা দায় হইতে অভ্যাহতি দানে প্রার্থনা করে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নেত্রকোনা গত সেপ্টেম্বর ২০ সালের রবি মিয়ার নমুনা রক্ত পরিক্ষার জন্য পুলিশ সিআইডি মালিবাগ ঢাকা প্রেরণ করে। এতে ৬ই জানুয়ারী ২১ সালে চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে সেখানে দেখা যায়, ডি এন এ পরিক্ষায় নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হয় যে, আঁখি আক্তারের গর্ভজাত সন্তান হাদিস মিয়া, জৈবিক পিতা রবি মিয়া নয়। রবি মিয়া মুটোফুনে এ প্রতিনিধেকে জানায় আমি সাধারণ গরিব পরিবারের ছেলে আমি অনেক পূর্বে থেকেই ঢাকায় থাকি করোনা কালীন সময়ে চাকুরী না থাকায় আমি বাড়িতে চলে আসি আঁখি আক্তার এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ৬মাস কারা ভোগ করতে হয়েছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর ন্যায় বিচার চাই।
বাদী মোঃ লাল চান মিয়া এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি মামলায় হেরে গেছি আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য পুনরায় আদালতে আবেদন করব। এস আই মোঃ জসিম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান লাল চান বাদী হয়ে মদন থানায় মামলা দায়ের করলে, মামলার প্রধান আসামী ররি মিয়াকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আসামী রবি মিয়া ও ভিকটিম আখি আক্তার তার গর্ভজাত সন্তান প্রসবের পর বিধি মোতাবেক আদালতের নির্দেশে ডি এন এ পরিক্ষা করা হয়। ডি এন রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায় আখির গর্ভজাতক সন্তান রবি মিয়ার সন্তান নয়। পরবর্তীতে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিজ্ঞ আদালতে মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়।