নিজস্ব প্রতিনিধি : বান্দরবান: বান্দরবান মধ্যম পাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীরের বিল্ডিং-এ এক কাজের মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২৬ জুন শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে তদন্তে জানা যায়। নিহত কাজের মেয়ে রিম্পি পাল (২২) বাঁশখালী কালিপুর গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড পালপাড়ার শংকর পাল (৫০) মাতা বেবি পাল (৪০) এর মেয়ে। নিহতের পরিবার বর্তমানে বান্দরবান জেলা কারাগারের পিছনে পাড়াতে এক বাসায় ভাড়া থাকে। মেয়েটি দীর্ঘ আট মাস ধরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত দীপা প্রভা( ২৭) এর বাসায় কর্মরত ছিল, তার স্বামীর নাম আশিস শর্মা (৩৩) । ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে নিহত রিম্পি পালের মা বেবি পালের সাথে সরাসরি কথা বলতে তিনি জানান আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ। গরিব বলে আমরা মেয়েকে তাদের বাসায় কাজ করতে দিয়েছিলাম । তারা প্রায় সময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো, আমরা গরিব বলে তার প্রতিবাদ করতে পারতাম না দু’মুঠো ভাতের জন্য। আমরা যদি দেখা করতে চাইতাম লকডাউন এর দোহাই দিয়ে তারা আমাদেরকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে দিত না। তাকে দেখে তখন আমাদের সবার কষ্ট লাগতো। কিন্তু আজ দুপুর ২ :৫০ এর দিকে মালিক দীপা প্রভা তার বাসা থেকে নিহত রিম্পি পালের পরিবারে মা বাবাকে ফোন করে জানান আপনাদের মেয়ে শ্বাসকষ্টে নিশ্বাস নিতে পারছে না ওর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ আপনারা দ্রুত বাসায় আসেন। নিহত মেয়ের পরিবারের লোকজন বাসায় গিয়ে দেখে সে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং মাথায় আঘাতের দাগ আছে। রক্ত বন্ধ না হওয়াতে তারা তার অবস্থা খারাপ দেখে নিহত রিম্পি পালকে দ্রুত বান্দরবান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত মালিক কর্তৃপক্ষ দীপা প্রভার স্বামী আশিষ শর্মা (৩৩) সাথে কথা বললে তিনি জানান মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল হঠাৎ করে বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে। সে গলায় ভাত আটকে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে। আমরা তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার পরিবারকে খবরটা পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে কথা বললে হাসপাতাল সূত্রে তারা জানান কেন মারা গেছে বা কি কারনে কি হয়েছে তা পোস্ট মাটন করলে বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা পোস্টমর্টেম করছি। এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রেজা সারোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বিডি২৪ভিউজ কে জানান আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং এর তদন্ত করছি এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছি, আশা করছি প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে আমরা এর সুব্যবস্থা করব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে পোস্টমর্টেম এর পর বিস্তারিত আরও রিপোর্ট আমরা পাব। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করার জন্য।