ইয়াছিন আরাফাত কক্সবাজার থেকে : নিজের ভূল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আছদ আলীর পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশাসহ তার সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেফহোমে নেয়া হয়েছে। আজ ২৮ সেপ্টেস্বর (সোমবার) বিকালে কালারমারছড়া থেকে তাঁদেরকে সেভহোমে নেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। জানাগেছে, সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণের জন্য বাদশাহ ও তার কয়েকজন সদস্যকে সেফহোমে নেয়া হয়। সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান বাদশাহকে সেফহোমে নেওয়ার বিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন বলেন, আলোচিত বাদশাহ পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে দস্যুতা করে আসছিল সে হয়তো নিজের ভূল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যাচ্ছে। সে সেভহোমে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। অপরদিকে এই দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়। ফলে সংবাদটি প্রশাসনের নজরদারিতে পড়লে বাদশাহকে হন্য হয়ে খোঁজছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে নিজেকে রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে যায়।
মাঝে মধ্যে আত্মগোপন থেকে বাহির হয়ে দস্যুতা করে বেড়াত বলে জনশ্রুতি রয়েছে। জানাগেছে, বাদশা একজন শান্তশিষ্ট টকবগে যুবক হিসেবে এলাকায় লোক মূখে পরিচিত হলেও খুব অল্প বয়সে অপরাধ জগতে ধাবিত করতে স্থানিয় প্রভাবশালীরা তার হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দেন। ফলে শুরু করেন দস্যুতা এক পর্যায়ে বনে যায় বাহিনীর প্রধান। জানা গেছে, কালারমারছড়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার তাগিদেই আলোচিত দস্যু বাদশাহ ও তার কয়েকজন অনুসারিরা আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে দক্ষিন চট্টগ্রামের উপকূলের বাঘা-বাঘা জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগররা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশাসনের একাধিক সূত্র। বর্তমানে এসব জলদস্যু, সন্ত্রাসী অস্ত্র কারিগর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে চলে গেছে। চলতি বছরের যে কোন মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে কোন স্থানে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।