মেহেরপুর প্রতিনিধি : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করতে দেশব্যাপী তামাক কোম্পানী বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা ২০৪০ সালে বাংলাদেশকে ধূমপান মুক্ত ঘোষনা করা হবে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তামাক পণ্য বিক্রয় রোধে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান বন্ধ ও নতুন নতুন ধূমপায়ী তৈরি রোধ করতে মেহেরপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় অনলাইন প্লাটফর্ম জুম’এ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা দি ইউনিয়ন এর অর্থায়নে, এইড ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় তামাক বিরোধী সংগঠন আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থার উদ্দোগে এবং মেহেরপুর পৌরসভার সহযোগীতায় পৌর মেয়র ও কর্মকর্তাদের সাথে এ তামাক বিরোধী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি জাবেদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন ২নম্বর ওর্য়াড কাউন্সিলর আল মামুন, ৩নম্বর ওর্য়াড কাউন্সিলর সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ বাপ্পী, সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার এস এম শফিউল ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আরজিয়া খাতুনসহ কর্মকর্তাগণ।
এসময় মেহেরপুর পৌর এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ অগ্রগতি নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এ কর্মকান্ডের সচিত্র তথ্য উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী মোহম্মদ হাসিবুল হক। ট্যাপস ব্যান মনিটরিংয়ে ফলাফলে জানাগেছে মেহেরপুর পৌর এলাকায় ৫৬ টি দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে, বেশিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে তামাক কোম্পানীগুলো, যা স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনত দন্ডনীয়। আলোচনায় আরও উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারীতে তামাক কোম্পানীর এরকম প্রচার-প্রচারণা আমাদের আগামী দিনগুলিকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
করোনায় অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মৃত্যু ঝুঁকি ১৪ শতাংশ বেশি। সরকারের ধূমপান বিরোধী র্কাযক্রমকে গতিশীল করতে আগামীতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত দোকান থেকে বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হবে এবং তামাক পন্য বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে শুধুই তামাক পণ্যের জন্য আলাদা লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। আলাদা লাইসেন্স হলে পৌরসভার যেমন রাজস্ব বাড়বে তেমনি নতুন নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টিতে বাধা তৈরি হবে। বাস্তবায়িত হবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। জেলা টাস্কফোর্স কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় এই বিজ্ঞাপন অপসারণ ও শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে অনুরোধ জানানো হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদ উদ দৌলা রেজা।