মোঃ সুজন বিশ্বাস কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪নং বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থার প্রস্তাব এনেছেন ওই পরিষদের সব সদস্য। বৃহস্পতিবার সকালে পরিষদের ১১ জন সদস্য অনাস্থার প্রস্তাবে স্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
এর আগে গত ২৭ জুলাই ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির, স্বেচ্ছাচারিতা ও পেশিশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন পরিষদের সদস্যরা।
অনাস্থার প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- কুষ্টিয়ার ৪নং বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালাউদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য জিন্নাত আলী, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জালাল মণ্ডল, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদ আহমেদ, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জামাল মৃর্ধা, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য খালিদ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আতিয়ার রহমান, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কামাল আজাদ, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া সংরক্ষিত তিন নারী সদস্যের মধ্যে দুইজন স্বাক্ষর করেছেন এরা হলেন- মিনা পারভীন ও মমতাজ বেগম। অপর নারী সদস্য শিল্পী খাতুন সাময়িক বরখাস্ত থাকার কারণে তিনি স্বাক্ষর করেননি। তবে তিনিও অনাস্থার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।
অনাস্থার প্রস্তাবে সদস্যরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। চেয়ারম্যান সকল অনিয়ম-দুর্নীতির বিরোধিতা করায় তাদের সম্মানী বন্ধ করে দিয়েছেন। গত ১৭ মাস ধরে কোনো সম্মানী পান না সদস্যরা। এর আগে গত ২৭ জুলাই ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন পরিষদের ১১ জন সদস্য।
১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালাউদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের আয়-ব্যয়ের তিনি একক হাতে নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো সদস্য জানেন না কোথা থেকে আয় হচ্ছে, কোথায় ব্যয় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন খাতে প্রতি বছর আয় হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু এসব টাকা কী হচ্ছে আমরা কিছুই জানি না। শুনছি ফান্ডেও কোনো টাকা নেই। তাহলে এত টাকা গেল কোথায়। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মণ্ডলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।