রিজাউল করিম সাতক্ষীরা : স্বজন শুভাকাংখী ও সহকর্মীদের শোক সাগরে ভাসিয়ে চির বিদায় নিলেন সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অরুন ব্যানার্জি। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মরণব্যাধি ক্যান্সার তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। রোববার বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুন ব্যানার্জি।
সোমবার (২০ডিসেম্বর)সকালে তার শবদেহ সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনে ফুলেল শবযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে। একইভাবে সেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এরপরই সাংবাদিক অরুন ব্যানার্জিকে নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি সাংবাদিক গোষ্ঠী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফুলেল বিদায় জানান।
এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আ.হ.ম তারেক উদ্দীনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। গার্ড অব অনার শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. অরুন ব্যানার্জিকে বহন করা হয় সাতক্ষীরার পলাশপোশ শ্মশানে। ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে তার একমাত্র কন্যা অনুষ্কা ব্যানার্জি বাবার শবদেহে মুখাগ্নি করেন। এর মধ্যদিয়ে শেষ হয় তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. অরুন ব্যানার্জি একজন জ্ঞানী ও সুখ্যাত আইনজীবি হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। সাংবাদিকতা ও আইন পেশার পাশাপাশি তিনি ছিলেন সাতক্ষীরা আইন মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার মৃত্যুতে জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।