মেহেদী হাসান আকন্দ: দাম্পত্য কলহেরে জেরে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পুলিশ শ্বশুরবাড়ির বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি স্ত্রীকে আটক করেছে। নিহত স্বামী হচ্ছেন, জেলার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে রুক্কু মিয়া (৩৮)। আটককৃত স্ত্রী জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে রবিনা আক্তার(৩২)। কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক জানান, শুক্রবার রাত অনুমান ২টার দিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওসি জানান, রুক্কু মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী রবিনা ছাড়াও পরে নোয়াখালীতে দ্বিতীয় ও গাজীপুরে তৃতীয় বিয়ে করেন। রুক্কু মিয়ার সাথে ১১ বছরের সংসার জীবনে রবিনার ৯বছর ও ৭ বছরের দুইটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্বামী রুক্কু মিয়া রবিনার ভরণপোষনের দায়িত্ব পালন করছিলেন না।
একাধিক বিয়ে ও ভরণপোষন না করা নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর জেরে রবিনা প্রায় দুই মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন রুক্কু মিয়া। রাতের খাবার খেয়ে রুক্কু মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত অনুমান ২টার দিকে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা রুক্কুমিয়ার মাথার ডানপাশে কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় রবিনা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুক্কু মিয়া। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেএবং বাড়ি থেকে রবিনাকে আটক করে। ওসি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিনা ভরণপোষন না দেয়া ও একাধিক বিয়ে নিয়ে দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যার করার কথা জানিয়েছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।