মোশাররফ হোসেন, মদন, নেত্রকোণা : মদন-নেত্রকোণা সড়কে বয়রালা নদীর উপর ১৯৯৫ সালে নির্মিত হওয়া পুরনো বয়রালা সেতুটি এখন জন দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েকদিন পরপরেই পাঠাতন ভেঙ্গে সৃষ্টি হয় জনসাধারণের জন্য নাগাতার দূর্ভোগ। এ যেন পরিনত এক মরণ ফাঁদে। মদন-নেত্রকোণা-খালিয়াজুরী সড়কে বয়রালা নদীর উপর দীর্ঘদিনের পুরনো বেইলী সেতুটি এক সময়ের আশীর্বাদ হলেও এখন অভিশাপে রূপ নিয়েছে। হাওর এলাকায় যোগাযোগের জন্য কোন সড়ক না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়েই চলাচল করতে হয় সকল প্রকার যানবাহন। সামনে আসছে বুরো মৌসুম। এতে ধানের ও মাছের ট্রাকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস চলাচল করে এই পুরনো সেতু দিয়েই। মদন উচিতপুর নামক মিনি কক্সবাজার পর্যটন স্পর্ট অঘোষিক হিসেবে থাকলেও হাওড় দেখতে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে একমাত্র এই বেইলী সেতু দিয়েই।
যার ফলে কিছুদিন পরপর পাঠাতন ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। ঢাকা-নেত্রকোণা-মদন সড়কে সকল প্রকার বাসের যাত্রীদের বয়রালা নেমে যেতে হয়। সেতুটি পার হয়ে ওপর প্রান্তে গিয়ে বাড়তি টাকা গুণে আবার অটোরিক্সা করে আরো ১৫/২০ টাকা ভাড়া দিতে হয় গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে যাত্রীদের। এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের চলাচল অব্যাহত রয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই। এ যাবৎ এই ভয়াবহ অবস্থা চলে আসলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও কর্তৃপক্ষের নজর কাড়েনি। এমন অবস্থায় দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ।
চানগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম তালুকদার জানান, বয়রালা বেইলী সেতুটি অনেক পুরাতন। এটি জরুরী ভিত্তিতে সরকারে দৃষ্টি দিয়ে পাকা সেতু করার জন্য আমি জোর দাবী জানাচ্ছি।
অপরদিগে কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফায়েত উল্লাহ রয়েল এ প্রতিনিধিকে বলেন, মদন খালিয়াজুরী হাওড় অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে। হাওড় অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সেতুটি পাকাকরণের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। জরাজীর্ণ সেতুর ব্যাপারে জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হামিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যেই ১৭কোটি টাকা ব্যয়ে মেইনটেনেইন্সের আন্ডারে পিএমসি পাশ হয়েছে। এবং গত মাসের ৭ই ডিসেম্বর টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই সেতুটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
জানা যায়, নেত্রকোণা থেকে মদন উপজেলা পর্যন্ত রয়েছে ৩২ কি.মি সড়ক। এই সড়ক দিয়েই জেলার হাওড় অঞ্চল খালিয়াজুরী ও সিলেটের শাল্লা, ধিরাই, সুনামগঞ্জ সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে।