নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে মাদক ব্যবসায়ীর ঘাটের চাঁদা উঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে । পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। এক পাকশী লালন শাহ্ সেতু ছাড়া সড়ক পথে নেই কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। দৈনন্দিন কাজের জন্য তাই অনেক সময় নৌ পথেই যাতায়াত করতে হয় সাধারণ মানুষকে। উপজেলার সাড়া ইউনিয়ন থেকে শুরু করে লক্ষীকু্ন্ডা ইউনিয়ন পর্যন্ত রয়েছে কয়েকটা ঘাট। প্রতিদিন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে তাই এখানকার বেশ কিছু মানুষ নৌকায় মানুষ ও মালামাল পারাপার করে থাকেন।
উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পুরাতন (৮নং ঘাট নামে পরিচিত) ঘাটে পালাক্রমে প্রতিদিন চলে ১০ টি নৌকা। আর এই অর্থ দিয়েই চলে ১০ টি পরিবারের জীবন জীবিকা। তবে এমনি এমনি চলে না এসব নৌকা। তার জন্য প্রতি সপ্তাহে গুনতে হয় ১০০ টাকা হারে চাঁদা। তা না হলে মেলেনা নৌকা চালানোর অনুমতি এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
তবে কে নেয় এসব চাঁদা। কেই বা অনুমতি দেন নৌকা চালানোর এসব তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, এর মুলহোতা শাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকশী হঠাৎপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা বিডি২৪ভিউজ কে জানান, শাম ঐ এলাকায় মাদক সম্রাট ও হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত, করেন গাজা হিরোইন ও ফেন্সিডিলের ব্যবসা। তার নামে রয়েছে কয়েকটি মাদক মামলা ।
ভুক্তভোগী ঐসব অসহায় গরিব নৌকার মাঝি নাম প্রকাশ না করার সার্থে বিডি২৪ভিউজ কে জানান, কখনো নিজেকে পুলিশের সোর্স আবার কখনো প্রভাবশালী এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে সপ্তাহে প্রতি নৌকার জন্য ১০০ টাকা হারে চাঁদা নির্ধারন করে দিয়েছে শাম। ১০ টা নৌকার জন্য সপ্তাহে তোলেন ১,০০০ টাকা আর মাসে ৪,০০০ টাকার মতো। ভয়ে মুখ খুলতে চান না এসব নৌকার মাঝি। বলেন, এতে নৌকা চালানো বন্ধ করে দিবে শাম নামের ঐ মাদক সম্রাট।
এ বিষয়ে জানতে শামের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে চাঁদা তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তথ্য প্রমান উপস্থাপন করলে পরবর্তীতে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে। বলেন এক প্রভাবশালী নেতার নামে নাকি ঘাটের ইজারা নেওয়া, তাই নিয়মিত চাঁদা তোলেন তিনি। অবশ্য প্রভাবশালী সেই নেতাকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো : আসাদুজ্জামান বিডি২৪ভিউজ কে জানান ঈশ্বরদী থানার কোথায়ও কোন চাঁদাবাজি হয় না । এখানে চাঁদাবাজির খবর প্রথম আপনার কাছ থেকে জানলাম , বিষয়টি আমরা দেখব , যদি কেউ এখানে চাঁদাবাজি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।