পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়ি ধোবাখোলা করেনেশন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটিতে জনবল নিয়োগে একজন চাকরী প্রার্থীর সাথে নিয়োগ বাণিজ্যের একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এসব বিষয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
নাটিয়াবাড়ি ধোবাখোলা করেনেশন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের জনবল নিয়োগ নিয়ে একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে এক চাকরী প্রার্থীর কাছে সারে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেবার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও অধ্যক্ষ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মানিক। তিনি বলেন, এই অডিওটি তিন বছর আগের। আর অডিওতে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেটি তার নয়। অন্য একজনের কন্ঠ এডিট করে আমার বলে চালানো হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র। তিন বছর আগেও ইউপি নির্বাচনের সময় আমাকে ফাঁসাতে এই একই অডিও রেকর্ড ফাঁস করা হয়েছিল। পরে আর তা ধোপে টেকেনি। এখন আবার সভাপতি নির্বাচনে জয়ী হবার পর আমাকে হেয় করতে একই রেকর্ড বাজানো হচ্ছে।
অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অডিওটি অনেক আগের। যাকে নিয়োগ দেবার কথা অডিওতে এসেছে সে আমাদের প্রতিষ্ঠানেই মাস্টাররোলে চাকরী করতো। তার সাথে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের আলোচনা হয়েছে। তবে অডিওটিতে তার কন্ঠ নেই বলে দাবি করেন। বিতর্কিত করতে অডিও বানানো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানেই মাস্টাররোলে থাকা চাকরী প্রার্থী মাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন কল কেকর্ডের ঘটনা শতভাগ সত্য তার যথেষ্ট প্রমান আমার কাছে আছে। সেসময় ভাপপ্রাপ্ত সভাপতি ম্যাজেনিং কমিটির লোকজনকে দিয়ে তার বাড়িতে টাকা দিয়ে আসলে চাকরী হবে এমন কথা বলেন কিন্তু আমি টাকা দিতে না পারায় আমার চাকরী হয় নাই, মাস্টাররোলে দীর্ঘদিন চাকরী করার পর আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, এখন আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি। এখন আর কি করব চাকরী তো আর ফিরে পাব না। যখন আমার সাথে প্রতারণা করা হয় তখন আমার পাশে কেউ দাঁড়াইনি। আমি এখন এর একটু সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতারকদেও বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সবুর আলী কালের কণ্ঠকে জানান আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।