নিজস্ব প্রতিনিধি : যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জম্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সকাল নয়টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন। এরপর প্রশাসনিক ভবন থেকে জাতির পিতার জম্মদিনের আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধুর জম্মশত বার্ষিকীর স্মারক ম্যুরাল জনক জ্যোতির্ময়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন-বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, পরিবহন পুল, কর্মচারী পরিষদ ও রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে শহিদ মিনার চত্বরে তিন পর্বে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন শিশুদের উদ্দেশে বলেন, আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা তোমাদের নিয়ে জনক জ্যোতির্ময়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছি। জনকের জ্যোতিতে আমরা জ্যোতির্ময় হতে চাই। জাতির জনকের জ্যোতিটা যেন শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। সেজন্য আজ শিশু দিবস। দিনটা শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা , এটা জাতির জনকের শিক্ষা। কারণ শিশুরাই হচ্ছে জাতির ভবিষ্যত। জাতির জনকের শিক্ষা, সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে জাতি এগিয়ে যাবে। শিশুদের মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে যাবে। ভবিষ্যতে তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। বিশ্বে তোমাদের নাম ছড়িয়ে পড়বে।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, শিশুদের উপস্থিতি আজকের দিনটাকে সুন্দর করে তুলেছে। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তুলেছে শিশুরা। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন , তাই দিবসটি শিশুদের জন্য উৎসর্গ করা। আমরা শিশুদের জন্য সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই।
আলোচনা সভার সভাপতি ও ১৭ মার্চ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, আজকের এই বিশেষ দিনে আমাদের প্রত্যাশা শিশুরা যেন সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে। সেই দায়িত্ব আমাদের সকলকে নিতে হবে।।
এরপর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ পর্যায়ে জাতির পিতার জম্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতার জম্মদিন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আলোক সজ্জা করা হয়।