পাবনা প্রতিনিধি : ব্যাপক-উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে প্রথম বারেরমত পাবনা সদর থানাতে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠান। রবিবার দুপুরে সদর থানা চত্বরে আলোচনাসভা, কেককাটার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটিকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ডিএসবি) শামিমা আক্তার। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী। সার্বিক দায়িত্ব পালন করনে ওসি (ওপারেশন) মনরিুজ্জানানসহ সদর থানার দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগন। অনুষ্ঠানে পাবনা সদর উপজেলার গুরত্বপূর্ন সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌর এলাকার সকল ওয়ার্ড এর পুরুষ এবং নারী সংরক্ষিত কাউন্সিলরগন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল তিনটা থেকে অনুষ্ঠান স্থলে ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঢাকার গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৭ মার্চ এর অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা হয়। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের শেষে পাবনার অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত পাঠ করে সদর থানা মসজিদের পেস ইমাম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন, মালিগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফ উদ্দিন, দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসান, মালঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান আব্দুল আলীমসহ পাবনা পৌরসভার পুরুষ ও নারী কাউন্সিলরগন।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত সকলকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষন নিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে সহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালির জাতীর মুক্তির সদন পাঠ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দিনটিতে স্মরণ করে রাখার জন্য পাবনা জেলা পুলিশের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই স্বাধীন বাংলাদেশ যদি আমরা না পেতাম তা হলে এই পুলিশবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রনে থাকতো। আমরা পরাধীন জাতি হিসাবে এই দেশে বসবাস করতে হতো। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষন এখন গবেষনা করা হচ্ছে। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করছে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের তাপপর্য নিয়ে। বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতির মনের কথা বুঝতে পেরেছিলেন। তাইতো তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল। আমরা বীরের জাতি সারা বিশ্বের কাছে আজ আমরা মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারছি। তাই সকলকে এই দেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সকলকে সাথে নিয়ে ঐতিহাসিক এই দিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পিরা পরিবেশন করে স্বাধীন বাংলা বেতারের বিভিন্ন কালজয়ী গান।