বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : Moscow, 20th May 2021– ১৩ই মে শিকার বিরোধী উদ্ভাবনী প্রকল্প “রাইসোটোপ” শুরু হয়েছে । পারমানবিক বিজ্ঞান ভিত্তিক এই প্রকল্প উল্লেখযোগ্য হারে গণ্ডার শিকার রোধ করবে । প্রকল্পটির উদ্যোক্তা উইটয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউআইটিএস) এবং এটি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সহযোগিতায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান পারমানবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থা (এএনএসটিও) , কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএসএ) রোসাটম (রাশিয়ান ফেডারেশন) এবং সাউথ আফ্রিকার পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন (এনইসিএসএ) । এছাড়াও রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানী , গবেষক , সাউথ আফ্রিকার গন্ডার মালিক ও পশু চিকিৎসক ড. উইলিয়াম ফল্ডস ।
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ও পারমানবিক সংস্থার মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রযক্তি সহযোগিতায় রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় আনবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম অন্যতম সহোযোগী ও গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করছে । প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয় বাফেলো ক্লোফ প্রাইভেট গেম রিজার্ভ এ , যা এই প্রকল্পের অন্যতম সহায়ক প্রতিষ্ঠান ।
উদ্বোধনী দিনে প্রকল্পের প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করা হয় , দুটি গন্ডারের শিংয়ে ক্ষতিকারক নয় এমন সামান্য পরিমান স্থিতিশীল আইসোটোপ অত্যন্ত সাবধানতার সাথে ঢুকিয়ে দেয়া হয় । বিজ্ঞানীরা পরবর্তী তিন মাস এই গন্ডারগুলোর উপর নজর রাখবেন এবং বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করার মাধ্যমে আইসোটোপ গুলোর প্রানী ও তার শিংয়ের মধ্যেকার মিথস্ক্রিয়া পরীক্ষা করে দেখবেন । তেজস্ক্রিয় এই আইসোটোপ গুলি বিরল এবং অত্যন্ত সুন্দর এই প্রানীদের কোনো ক্ষতি করছে না এটা খুজে দেখাই এই গবেষনার অন্যতম লক্ষ্য । এটি নিশ্চিত করতে কম্পিউটার ও ফ্যান্টম মডেলিং ব্যাবহার করা হবে এবং এর সাহয্যে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ গুলো ও এর পরিমানের উপর নজর রাখা হবে ।
আইগোর ও ডেনভার এই প্রকল্পের অগ্রযাত্রী এবং প্রধান নায়ক । আইগোর নামটি আইগোর কুরচাটভ এর নামানুসারে রাখা হয়েছে , যিনি একজন সোভিয়ের পারমানবিক পদার্থবিদ ছিলেন এবং দৈনন্দিন জীবনের ব্যাবহৃত পারমানবিক প্রযুক্তির উন্নয়নে যার বিরাট ভুমিকা রয়েছে । কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপুর্ন অবদানের সম্মানে কলোরাডোর রাজধানীর নামানুসারে ডেনভার নামটি রাখা হয়েছে ।
জোহানেসবার্গের উইটয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তেজস্ক্রিয়তা ও হেলথ ফিজিক্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক জেমস লারকিন এই প্রকপ্লটিকে ভিন্ন আঙ্গিকে উল্লেখ করেন । “বিশ্বের সামান্য কিছু দেশে আপনি বিগ ফাইভ দেখতে পারেবেন । আমাদের এই শিল্পে দুটি কারণে কঠোর পরিশ্রম করেত হবে; মানু্যের জীবিকার জন্যে এবং এই গেম ফার্মে যারা বসবাস করে এবং কাজ করে তাদের জন্যে । আপনাকে বুঝতে হবে আপনি গন্ডারকে একবার গুলি করতে পারেন , কিন্তু ক্যামেরার মাধ্যমে আপনি শত শত বার গুলি করতে পারবেন , এমনকি সহস্র বার, এবং মানুষ এই সুন্দর প্রানী গুলো দেখতে বারবার আসবে , যা অনেক মানুষের জীবিকার সূযোগ করে দেবে এবং অর্থনীতী সমৃদ্ধ হবে ।
রাইসোটোপ প্রকল্পটি বহুমুখী এবং এর অন্যতম নীতিগুলো হলো , চাহিদা এবং এবং শিংয়ের মুল্য হ্রাস , সামাজিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ, গন্ডার সম্পর্কে সচেতনতা ও গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহ । এই নীতি সমুহ ভিত্তি করে প্রকল্পটির মুল লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজারে গন্ডারের শিংয়ের চাহিদা হ্রাস এবং সীমানা অতিক্রম করার সময় এগুলিকে চিহ্নিত করা । বিশ্বের বিভিন্ন প্রবেশ পোর্টে ১০,০০০ এর উপর তেজস্ক্রিয় ডিটেকশন ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের দৃঢ় বিশ্বাস যে এই প্রকল্পের কারনে গন্ডারের শিং পাচার অত্যন্ত কঠিন হবে এবং চোরাকারবারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে । গবেষণা শেষ হওয়া এবং এই ধারনার পরীক্ষামুলক প্রমানের পরে এই প্রকল্পটিকে আফ্রিকা মহাদেশের ও সমগ্র বিশ্বে রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিগত গন্ডার মালিকদের প্রস্তাব করা হবে । বিভিন্ন সংরক্ষনকারী সংস্থা যারা তাদের প্রানীদের এই পদ্ধতিতে শিকার থেকে রক্ষা করতে আগ্রহী তাদের জন্য বিনামুল্যে এই প্রকল্পটির মেধাসত্ব, প্রশিক্ষন ও সহোযোগীতা দেয়া হবে । রোসাটমের মধ্য ও দক্ষিন আফ্রিকার সিইও রাইয়ান সোলিয়ের বলেন “অত্যন্ত সুন্দর প্রানীদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার এই গুরুত্বপুর্ন উদ্যাগে মৌলিক ভুমিকা পালন করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত ” । আমরা অত্যন্ত বিনীত যে বিজ্ঞান সীমানা অতিক্রম করছে , সীমানা ও রাজনীতি অতিক্রম করে আফ্রিকান গন্ডারদের রক্ষার বৈশ্বিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । বিজ্ঞান বিশেষ করে পারমানবিক বিজ্ঞান শুধু মাত্র গন্ডার কে নয় পুরো বিশ্বকে রক্ষা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি” ।
****
Moscow, 20 th May 2021– On May 13th the innovative anti-poaching “Rhisotope Project” was
launched. The project which is based on nuclear science, has the potential to drastically reduce
Rhino poaching. The project was initiated by the University of Witwatersrand (WITs) and is
being implemented under a global collaboration with the Australian Nuclear Science and
Technology Organization (ANSTO), Colorado State University (USA), ROSATOM (Russian
Federation) and the Nuclear Energy Corporation of South Africa (NECSA) as well as global
scientists, researchers, South African rhino owners and veterinary surgeon Dr William Fowlds.
The Russian State Atomic Energy Corporation Rosatom is a key supporter and partner of the
unique international technology collaboration between universities and nuclear organizations.
The launch of the project happened at the magnificent Buffalo Kloof Private Game Reserve,
which is also an important collaborator in the project.
On the day of the launch, the first phase of the project was implemented, a trace amount of
completely harmless stable isotopes was carefully introduced into the horns of two rhinos. For
the next three months scientists will monitor the rhinos and analyze various samples to
understand how the isotope interacts within the horn and the animal. The key aspect of this
research will be to confirm that by introducing radioactive isotopes into the horns of these rare
and beautiful animals it will cause them no harm. Computer and phantom modelling will also be
used to confirm this as well as identify the appropriate radioactive isotope and quantity to be
used.
Igor and Denver are the rhino pioneers and the main heroes of this project. Igor is named after
Igor Kurchatov, a Soviet nuclear physicist who contributed greatly to the development of civil
nuclear technology as we know it today. Denver is named after the capital of Colorado, in honor
of the efforts provided by Colorado State University (USA) in the project.
Professor James Larkin, Director at the Radiation and Health Physics Unit at the University of
Witwatersrand in Johannesburg, highlighted the project from a different perspective. “One of
the very few countries in the world, where you can come and see the big five. We’ve got to work
hard to maintain that for the two reasons in the industry: for the people’s employment, for the
benefit of everyone who lives and works around the game farm. You have to realize that you can
shoot a rhino once, but if you shoot it with a camera, you can do it a hundred times, a thousand
times and people will keep coming back to see these beautiful animals, that’s jobs for a lot of
people, that’s growth of the economy”.
The Rhisotope Project is multifaceted and relies on the following key principles, demand
reduction and horn devaluation, community upliftment and investment, education as well as
rhino research and data collection. By focusing on these principles, the project aims to decrease
the demand for rhino horn on the international market as well as make the horn more detectable
when crossing international borders. With over 10 000 radiation detection devices installed at
various ports of entry across the globe, experts are confident that this project will make the
transportation of horn incredibly difficult and will substantially increase the likelihood of
identifying and arresting smugglers.
Once the research work has been completed and a proof of concept has been demonstrated, this
technique will then be offered to both state and private rhino owners on the African continent
and globally. The intellectual property as well as training and assistance will be made freely
available to conservation organizations who may wish to utilize this process to further protect
their animals from poaching.
“We are incredibly proud to play a fundamental role in this amazing initiative, which has the
potential to save this incredible species from certain extinction”, noted Ryan Collyer, CEO of
Rosatom Central and Southern Africa. “We are also humbled by the fact that science is able to
transcend boundaries, borders and politics as shown by this global initiative in a race against the
plight of the African rhino. We believe that science and particularly nuclear science will play a
fundamental role in not only protecting the rhino but our planet in general.”
About Rosatom
ROSATOM is the only company in the world that has the resources and competencies to offer energy solutions across the nuclear supply chain. It possesses a wide range of assets, including assets in design, construction and operation of nuclear power stations, uranium mining, conversion and enrichment, supply of nuclear fuel, decommissioning, spent fuel storage and transportation and safe nuclear waste disposal. Rosatom is also engaged in the production of equipment and isotope products for the needs of nuclear medicine, scientific research, and materials science, the production of digital and of various nuclear and non-nuclear innovative products. The company’s strategy is to develop low-carbon power generation projects, including in the wind generation field. Today the company brings together over 300 enterprises and organizations and over 250,000 employees.
About Rhino poaching
South Africa is home to 90% of the world’s rhino population. From 2010 to 2019 over 9600 rhinos were killed in poaching attacks. Even though the trade in rhino horn is illegal and banned internationally, there are many countries that drive the illicit sale of horn, countries like Vietnam, China, Cambodia, Croatia and North Korea to name a few. Now trafficked rhino horn is not an industry of its own, it has become a lucrative “commodity” for the biggest crime syndicates to benefit from.