প্রতিষ্ঠার আটবছর পেরিয়ে গেলেও নামহীন নোবিপ্রবি’র ভাস্কর্য; শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
রিয়াদুল ইসলাম, নোবিপ্রবি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নির্মিত ভাস্কর্য’র নামকরণ হয়নি প্রতিষ্ঠার আটবছরেও। ভাস্কর্যটির নামকরণের জন্য গত বছরের(২০২০ সাল) জানুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীদের থেকে নাম সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বারবার বিলম্বিত হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ,আট বছর আগে ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর সাইদুল হক। উদ্বোধনের সময় ভাস্কর্যটির সাময়িক নাম ‘স্বাধীনতা ভাস্কর্য’ দেয়া হলেও পরবর্তীতে কাগজে কলমে অফিসিয়ালি কোনো না স্থায়ী রূপ ধারণ করেনি। সেই সময়কার দেয়া অস্থায়ী নামের ওপর এখনো দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।
পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার এবং গবেষণার জন্য মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ নামক একটি বিভাগ খোলা হলেও নামকরণ হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটির।এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অস্থায়ী নামেই আছে ভাস্কর্যটি। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরতে আসা আমাদের সহপাঠী বন্ধুরা যখন ভাস্কর্যটির নাম জিজ্ঞেস করে তখন আমরা নাম বলতে পারি না। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমি জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে নাম সংগ্রহ করে এটির জন্য কমিটি করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে নাম সিলেক্ট করে উপাচার্যের কাছে প্রস্তাবনা চিঠি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন নাম দেয়া হয়নি এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো স্থাপনা রয়েছে যেগুলোকে প্রকল্পের তালিকা অনুযায়ী যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেভাবেই নামকরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ১, একাডেমিক ভবন ২ সহ আরও কিছু স্থাপনা রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোর কোন নাম নেই। শিক্ষার্থীরা বাস নামকরণের বিষয়ে প্রস্তাবনা করলে নাম দেয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনাকালীন ছুটিতে এবিষয়ে আর আলোচনা হয়নি।