কুবিতে সাংবাদিক বহিষ্কার স্বাধীন গণমাধ্যমনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক: ইবি প্রেস ক্লাব

0

ইবি প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব।

গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি আবু হুরাইরা ও সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশও বটে। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক ছাত্রজীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় বের করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। শুধু ভালোলাগা নয়, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন। পেশাগত দায়িত্বপালনের জায়গা থেকে কুবি উপাচার্যের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় উপাচার্যের চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। উপাচার্য কোন প্রকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি, যা কোনভাবেই শিক্ষকসূলভ আচরণ নয়।’

নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার নামান্তর ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায়। একইসঙ্গে সরকারের স্বাধীন গণমাধ্যমনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্বাধীন দেশে গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরার এ ধরণের চেষ্টা খুবই দুঃখজনক। আমরা অবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশের সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতির বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলে উন্নতি হচ্ছে।’ উপাচার্যের এমন বক্তব্য সংবাদে তুলে ধরায় বুধবার ইকবালকে বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.