আমাদের নাটক আবার স্বর্ণালী অতীতে ফিরে যাবে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী হার্ট হ্যাকার রুমা রাইসা
বিডি২৪ভিউজ বিনোদন ডেস্ক : নাটক এখন আর শুধু টিভি চ্যানেলে সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির কল্যাণে টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি তা চলে এসেছে অন্তর্জাল দুনিয়ায়ও। টিভির অনেক দর্শকই চলে গেছে ইউটিউবে। আর তারা এখন এ মাধ্যমটিতেই নাটক দেখছেন। এই সুযোগে অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা, অভিনেত্রীরা নাটক ও শর্টফ্লীমে অভিনয় করা শুরু করেছে শুধুমাত্র ইউটিউবের জন্য। তাঁদের মধ্যে তুখোড় ব্যক্তিত্ব, মায়াভরা চাহনি, গ্ল্যামার, মন জয়করা অভিনয়- সব কিছু নিয়ে যে সময়ের সেরা অবস্থানে আছেন তিনি হলেন ‘রুমা রাইসা।
প্রচণ্ড ব্যক্তিত্ব, প্রখর সম্ভ্রম আর দাপুটে অভিনয়- এই সব কিছু দিয়ে এই অভিনেত্রী ও মডেল কন্যা জিতে নিয়েছিলেন প্রতিটা বাঙালির মন। ভীষণ ভার্সেটাইল তিনি। এক দিকে স্নিগ্ধ আবার অন্য দিকে দৃঢ়। আর তাঁর সেই ভীষণ রকম বাঙ্ময় দু’টো চোখ আর গভীর চাহনি, যার জন্য উথালপাথাল হয় প্রত্যেকটা বাঙালির মন! একই ভাবে বাঙালির ইমোশনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন এই মডেল কন্যা।
আমাদের নাটকের সোনালি ঐতিহ্য রয়েছে। বিটিভির যুগে দর্শক অনেক কালজয়ী নাটক পেয়েছে। এখনো অনেক ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দর্শক সেসব নাটক দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দর্শকদের নাটকমুখী করতে হলে অবশ্যই নাটক থেকে অশ্লীলতা দূর করতে হবে। সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বিজয় সরকারের মতে, চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের মতো নাটকেও সেন্সর বোর্ড থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না এমন কিছু নির্মাণ হলে যেন প্রদক্ষেপ নেয়া যায় তার জন্য সেন্সরের বোর্ড প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী রুমা রাইসা বিডি টোয়েন্টিফোর ভিউজকে জানান ; “টেলিভিশন নাটকে আপত্তিকর কিছু থাকবে এটি কারো কাম্য নয়। টেলিভিশনকে বলা হয় ড্রয়িং রুম মিডিয়া। এখানে পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে টিভি দেখেন। সময়ের সঙ্গে আধুনিকতা আমাদের মধ্যে এসেছে আমরা এখন ইউটিউব মুখি তাই বলে অশ্লীলতাকে নিজেদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যাবে না। নাটক শর্টফ্লীম মিউজিক ভিডিও তাই এখন একইসঙ্গে টিভি ও ইউটিউব দু’মাধ্যমের জন্য নির্মাণ হচ্ছে। ফলে নাটক, শর্টফ্লীম নির্মাণের সংখ্যা বেড়েছে। শুধু অভিনয় ও নির্মাণ করলেই চলবে না। শিল্পী ও নির্মাতাদেরও সমাজ এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি। সমাজ ও তরুণদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই ধরনের নাটকে অভিনয় থেকে শিল্পীদের দূরে থাকতে হবে, আমি দূরে আছি এবং আগামীতেও থাকবো তার সাথে নির্মাতাদেরও ভালো নাটক নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”একটা সময় দর্শকরা ড্রয়িং রুমে বসেই পরিবার নিয়ে টিভি নাটক দেখতো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে এটি এখন ড্রয়িং রুমে সীমাবদ্ধ নেই। ইউটিউবসহ বিভিন্ন অ্যাপে এখন নাটক দেখছে দর্শকরা। কিন্তু আজকাল কি হচ্ছে নাটকে? এমন প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায় দর্শকের কাছে। বিভিন্ন নাটকের ইউটিউব কমেন্ট বক্সেও দর্শকরা নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া জানান। দেশীয় নাটকের কুরুচিপূর্ণ নাম, অশ্লীল দৃশ্য ও সংলাপ এখন যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে! একটা সময় ‘সকাল সন্ধ্যা’, ‘অয়ময়’, ‘রূপনগর’, ‘শুকতারা’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘আজ রবিবার’, ‘আমাদের নুরুল হুদা’, ‘রঙের মানুষ’, ‘দ্বিতীয়জন’ এমন সুন্দর সুন্দর নামের নাটক তৈরি হতো। কিন্তু এখন কুরুচিপূর্ণ টাইটেলের নাটকে ভরপুর চ্যানেল থেকে শুরু করে ইউটিউব। সাম্প্রতিক কিছু নাটকের নাম শুনলেই চোখ কপালে উঠবার কথা! এসব কুরুচিপূর্ণ নাটকের আগ্রাসন ভেঙ্গে আমাদের দেশীয় নাটক আবার তাঁর স্বর্ণালী অতীতে ফিরে যাবে বলে বিশ্বাস করেন জনপ্রিয় এই মডেল ও অভিনেত্রী।
—- জাহিদ হাসান নিশান।